মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং  কিভাবে শিখবো এই ব্লগে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।  যদি এই ব্লগ ভালো করে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন যে মোবাইল দিয়ে কত কি করা সম্ভব।  বর্তমান যুগ আধুনিক যুগ আর এই যুগে স্মার্টফোন ব্যবহার করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে।  আমরা তো অন্য দিন স্মার্টফোনে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোন ধরনের ভিডিও দেখি ফটো পোস্ট করি লাইক করি কমেন্ট শেয়ার করে থাকি।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আর আমরা কারো ভিডিও দেখি যে মজা নেই পালায় করি কমেন্ট করি এই ভিডিওগুলো অনেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করে।  এবং বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং বা ইউটিউব থেকে সফলতা অর্জন করেছি হাজার হাজার লোক যা আপনি একটু সোশ্যাল মিডিয়া গুগল ইউটিউব ঘাটাঘাটি করলে দেখতে পাবেন। আপনারা যদি ইচ্ছা থাকে কাছে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে ইনকাম করা শুরু করবেন তাহলে এই পোস্টটি সম্পন্ন করুন।  
 
 সূচিপত্রঃ

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখব এবং আসলেই কি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।  বা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে কি কি কাজ করা যায় বা কাজ কোথায় পাবো এই বিষয় নিয়ে এই পোস্টটি একদম সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে । মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে  এই পোস্টটি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন।  আমার বিশ্বাস আপনি কন্যা কোন কাজ করার সিদ্ধান্ত অবশ্যই নিতে পারবেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কথাটা শোনেনি বা জানে না এরকম মানুষ কমই আছে ফ্রিল্যান্সিং দিন দিন বাংলাদেশে অনেক ফেমাস হয়ে যাচ্ছে এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হচ্ছে অনেক মানুষ।  ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে অনেকে এজেন্সি দাঁড় করেছে, প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে্‌ পাশাপাশি কেউ একা একাই লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে এই প্লাটফর্ম থেকে। তো এখন প্রশ্ন যে মোবাইল দিয়ে কি ফ্রিল্যান্সিং করা যায়?
 হ্যাঁ, যায়। শুধু করা যায় না অনেক ভালোভাবে করা যায়।  তবে চলুন দেখি আসলে কিভাবে করা যায়, কি কি কাজ করা যায় এবং কোথায় কাজ পাবেন।

  মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যাসিং

 অনেকের মাথায় এ ধরনেরও প্রশ্ন আসে যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে মোবাইলে স্পেসিফিকেশন কেমন হতে হবে। মোবাইল কি হাই কোয়ালিটির হতে হবে না লো কোয়ালিটি মোবাইল দিয়ে ফিলিংস করা যায়। এ বিষয় নিয়েও অনেকের মাথায় নানান ধরনের চিন্তা রয়েছে।
 এ ধরনের প্রশ্ন যাদের মাথায় আছে আজকে একদম ক্লিয়ার হয়ে যাবে যে কি কাজ করতে কেমন মোবাইল ফোনের প্রয়োজন এবং লো কোয়ালিটির মোবাইল দিয়ে কাজ করা যায় নাকি।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইলে যদি সর্বনিম্ন দুই থেকে তিন জিবি রেম থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু করতে পারবেন তবে আপনাকে লাইট কাজ দিয়ে শুরু করতে হবে এবং পরবর্তীতে আপনার মোবাইল কে আপডেট করতে হবে তাহলে আপনি একটু হেভি কাজ করতে পারবেন।  আর যদি চার জিবির ওপরে রাম হয় তাহলে আপনি মোটামুটি সব ধরনের কাজই করতে পারবেন যা সম্পর্কে বলব।

 মোবাইল দিয়ে কি কি কাজ করা যায়

 মোবাইল দিয়ে প্রায় সব ধরনের কাজই করা যায় এই পোস্টে দশটা বড় বড় ধরনের কাজের কথা বলা হবে যা আপনি সহজেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন এবং অনেক ভালোভাবে করতে পারবেন এবং এটা যদি আপনি ভালভাবে রক্ত করতে পারেন তাহলে এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন নিচে লিস্ট আকারে  কাজগুলো দেওয়া হল

কন্টেন্ট রাইটিং এবং  ব্লগিং

 আপনি মোবাইল দিয়ে যেকোনো ধরনের কনটেন্ট রাইটিং কাজ অতি সহজেই করতে পারবেন।
 আর writing কাজের জন্য মোবাইলের তেমন একটা বড় ধরনের অ্যাপস এর ও প্রয়োজন হয় না যা আপনার মোবাইল সহজেই কাজ করবে।  আপনি চাইলে নিজের একটা ওয়েবসাইট খুলে সেখানে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারেন।  কারন আমরা মোবাইলে ফেসবুক কিছু না কিছু লিখে থাকি চ্যাটিং করে থাকে বন্ধুদের সাথে রাইটিং কাজটা এই চ্যাটিংয়ের মতোই সহজ।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো


 আপনি চাইলে ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে এআই দিয়ে কন্টেন্ট রাইটিং শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন সহজেই দিয়ে সব ধরনের রাইটিং করা যায় এবং সে রাইট কে কিভাবে হিউম্যান রাইট ইন তে পরিবর্তন করবেন সে বিষয়ে ইউটিউবে অনেক ভিডিও আছে বা অনেক ব্লগে আপনি সহজেই পেয়ে যাবেন।  তো রাইটিং এর মধ্যে কিছু কাজ যেমন প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং, ইমেইল রাইটিং, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রাইটিং,  প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং এগুলো অনেক সহজ কাজ  যা আপনি খুব সহজেই ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে কোন টাকা খরচ না করে শিখতে পারবেন।

 ডাটা এন্ট্রি

 ডাটা এন্ট্রি এ ধরনের কাজ করতে আপনার তেমন কোনো বড় অ্যাপস এর প্রয়োজন হয় না আপনি খুব সহজেই গুগল ইউটিউব ফেসবুকে এবং নানা ধরনের ডাটা এন্টি সাইড রয়েছে যেগুলো থেকে অনেক ডাটা পাওয়া যায়। এবং ডাটা এন্ট্রি কাজের ডিমান্ড ও ভালো এবং ভবিষ্যতেও এর চাহিদা রয়েছে অনেক।  কারণ আমরা যে কাজই করি না কেন আমাদের সেই কাজের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ইনফরমেশন প্রয়োজন হয় আর বিদেশীরা সেই ইনফরমেশন নিজেরা কালেক্ট করতে পারেনা বা তাদের সময় হয়না এটা করার জন্য এজন্য ডাটা এন্টি এক্সপার্টদের হায়ার করে কাজ  করিয়ে নেই।

 ডিজিটাল মার্কেটিং

 আমরা কম বেশি সবাই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে অনেক কিছু জানি এবং প্রতিনিয়ত আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর কাজও করে থাকি কিন্তু আমরা বুঝি না যে আমরা যা করি এই কাজ থেকেই অনেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে থাকে শুধুমাত্র আমরা না বুঝার কারণে এবং কিভাবে করতে হয় এটা না জানার কারণে আমরা ইনকাম করতে পারি না।  যেমন ধরুন আপনি ফেসবুক এবং ইউটিউব প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছেন।  কোন কিছু জানার জন্য অথবা বিনোদনের জন্য।  আর এই ফেসবুক ইউটিউব থেকেই যারা বিনোদন দিচ্ছে বা তথ্য দিচ্ছে তারা লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে নিয়ে যাচ্ছে।

 তাছাড়া আমরা কমবেশি বেশিরভাগ মানুষই ফেসবুক প্রোফাইল রয়েছে ফেসবুক পেজ রয়েছে যেখানে আমরা নানা ধরনের পোস্ট করি বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং করি লাইক শেয়ার করি অনেক মার্কেটিং পন্থা আমরা এখানে করে থাকি কিন্তু আমরা শুধু বুঝি না কিভাবে ইনকাম করতে হয়। তো আমরা তো জানি ফেসবুক সম্পর্কে আপনি যে কাজ রেগুলার করেন সেটাই শুধু আপনাকে সঠিকভাবে করা শিখতে হবে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে অথবা নিজের পোস্ট করে ইনকাম করতে পারবেন।

 ফেসবুক মার্কেটিং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এ ধরনের কাজ করে আপনি সহজেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।  এবং এ ধরনের কাজের চাহিদা রয়েছে অনেক এবং ভবিষ্যতেও মার্কেটিং এর চাহিদা সবচেয়ে বেশি হবে বলে আমি মনে করি আর আপনি যেহেতু facebook youtube সম্পর্কে অনেক  কিছু জানিনি আগে থেকেই তো আর একটু ভালো করে শিখে নিলেই আপনি ভাইয়ের জন্য কাজ করতে পারবেন।

 গ্রাফিক্স ডিজাইন

 বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইন অনেক পরিচিত একটা বিষয় এবং এর চাহিদাও খুব একটা খারাপ না এজন্য আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন।  বর্তমানে মোবাইলে ফটোশপ এপও পাওয়া যায় যেখানে আপনি হাই কোয়ালিটির গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন  পাশাপাশি  অনলাইন ডিজাইনের তো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি সব ধরনের ডিজাইন অনেক সহজেই করতে পারবেন যেখানে মোবাইলের উপরে তেমন একটা চাকরি পরবেনা।

 যেমন আপনি চাইলে  কেনভা  ব্যবহার করতে পারেন। আমি নিজেও ফটোশপে এবং ক্যানভা ব্যবহার করে থাকি ক্যানভাতে অনেক সহজেই ডিজাইন করা  যায় এবং এটা ডেক্সটপ এবং মোবাইল ডিভাইস থেকে অনেক সহজেই করতে পারবেন।  এবং মার্কেটপ্লেসে কনভার্ট ডিজাইনের চাহিদা রয়েছে অনেক।  তো আপনি শুধু  কেনভা দিয়ে ডিজাইন শিখেও ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।  তাছাড়া মোবাইল দিয়ে ডিজাইন করার অনেক অ্যাপস তো রয়েছে ।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে অনেক ক্যাটাগরি রয়েছে এর মধ্যে আপনার যে ক্যাটাগরি টা পছন্দ হয় সেটা নিয়ে আপনি কাজ করা শুরু করে দিন এবং youtube থেকে ফ্রি রিচার্জ ভিডিও দেখেই আপনি সহজেই একজন মোবাইল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারবেন।  এর জন্য শুধু আপনাকে কয়েক মাস সময় দিয়ে লেগে থাকতে হবে নিয়মিত প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটপ্লেসে পোর্টফলিও সাবমিট করে কাজের চেষ্টা করতে হবে।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

 ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটা আর্নিং সেক্টর।  বিশেষ করে বিদেশীরা  যখন অতিরিক্ত কাজের চাপ সামলাতে পারে না তখন কোন ফ্রিল্যান্সার হায়ার করে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে।  আর ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর  কাজ হচ্ছে বায়ারের নির্দেশ মেনে কারো সাথে যোগাযোগ করা ইমেইল করা সেটিং করা কাউকে কোন বিষয়ে সাহায্য করা বা ডাইরেক বায়ার কে  কোন কাজের বিষযয়ে  সাহায্য করা।  এক কথায় ভার্শন অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ হচ্ছে বাইরের বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা।

 আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে সহজেই এই স্ক্রিলটি অর্জন করে তারপরে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস এর চেষ্টা করার পর আপনি সহজেই ভার্সেল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ পেয়ে যাবেন এবং এ ধরনের কাজ শিখতে তেমন একটা সময় লাগে না এবং মোবাইল দিয়ে আপনি করতে পারবেন।

 ভয়েস ওভার

বর্তমান যুগ হচ্ছে ভিডিও মার্কেটিং এর যুগ।  এখন বেশিরভাগ মার্কেটিং করা হচ্ছে ভিডিওর মাধ্যমে এজন্য ভিডিও মার্কেটিং করতে প্রথমেই ভিডিওর প্রয়োজন হয় যা কেউ প্রথমে আগে স্ক্রিপ্ট লেখে তারপরে তৃপ্ত অনুসারে ভয়েসে পরিণত করতে হয় আর ভয়েস দেয়ার জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারের প্রয়োজন হয় বা ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন হয়।  আপনার ভয়েস যদি ভালো হয়ে থাকে আপনি মোবাইল দিয়ে শুধুমাত্র একটা মানসম্মত মাইক্রোফোন এর সাহায্যে ভয়েস ওভার ফ্রিল্যান্সিং কাজটাও করতে পারেন এটার চাহিদা অনেক।

 শর্ট এন্ড রিলস

আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে যেকোনো ধরনের শর্ট ভিডিও বা রিলেশ ভিডিও খুব সহজেই কিছু এ আই ওয়েবসাইট এবং দু-একটা ভিডিও এডিটিং অ্যাপস ব্যবহার করেই করতে পারবেন। যেটা বর্তমানে মার্কেটপ্লেস এর চাহিদা অনেক বেশি।  তো আপনি কাইনমাস্টার ইনশট অথবা ক্যাপ্টাটে ভিডিও এডিটিং শিখার মাধ্যমে খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং যাত্রা শুরু করতে পারেন।

  ইউটিউব অটোমেশান

বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ইউটিউব অটোমেশন ভিডিও বানিয়ে অনেক ইউটিউবার লাখ লাখ টাকা মাসে আয় করছে।  এবং এই অটোমেশন বানানো তেমন একটা কঠিন না এআই ব্যবহার করে এবং একটু এডিট করে খুব সহজেই এই অটোমেশন ভিডিও তৈরি করা যাচ্ছে।  আপনি চাইলে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে খুব সহজেই যেকোনো বিষয় নিয়ে ইউটিউব অটোমেশন ভিডিও বানিয়ে নিজে ইউটিউবে আপলোড করে তারপরে রেগুলার কাজ করে কিছুদিন পর থেকে ভালো ভিউ আসা শুরু হয়ে যাবে।

 এবং তারপর আপনি কন্টিনিউ এই কাজটি করে যেতে হবে ছয় মাস অথবা এক বছর কাজটি কন্টিনিউ করে গেলে তারপরে এডসেন্সের জন্য গুগলে আবেদন করুন করতে পারলে আপনি অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেলের জন্য গুগল এডসেন্স আবেদনের হয়ে যাবে।  ইউটিউব চ্যানেল করে মনিটাইজ করে আপনি এখান থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

পাশাপাশি আপনি যদি অটোমেশন ভিডিও এডিটিং করা শিখে যান এটা দিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ও করতে পারবেন কারণ বর্তমান বিশ্বে প্রথম ভিডিওর চাহিদা অনেক বেশি। তাই দেরি না করে এখনই এই কাজটি শুরু করে দিতে পারেন প্রথমে এআইকে কমান্ড দিতে হবে তারপরে আপনাকে অটোমেশন ভিডিও বানিয়ে দেবে এবং সেটাতে ভয়েস ওভার করে একটু এডিট করে প্র্যাকটিস চালিয়ে যান।

ফটো এডিটিং

ফটো এডিটিং করেও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। ফটো এডিটিং এ অনেকে বেশ ভালো টাকা আয় করে থাকে। , যা আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে খুব সহজেই করতে পারবেন।  এবং এই কাজটা তেমন একটা কঠিন ও না শিখতেও খুব বেশিদিন টাইম লাগবে না।  এবং আপনি ইউটিউবে ফ্রী ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন কোন টাকা খরচ হবে না।  শুধু আপনাকে সময় নিয়ে নিয়মিত প্র্যাকটিস করে যেতে হবে তাহলেই আপনি ফটো এডিটিং এ এক্সপার্ট হয়ে যাবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখব

এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মোবাইল দিয়ে তো অনেক কাজই করা যায় কিন্তু আপনি কোন কাজটা করবেন এবং কিভাবে করবেন।  এই বিষয়টা যদি আপনি ভালোভাবে না জানেন তাহলে সফল হতে পারবেন না এজন্য আপনাকে তুই একটা বিষয়ে কাজ শিখতে হবে এবং রেগুলার প্র্যাকটিস করতে হবে এটা আপনি চাইলে ইউটিউব গুগল ফেসবুক থেকেও খুব সহজেই শিখতে পারেন যেখানে আপনার একটা টাকা খরচ হবে না শুধু সময় দিয়ে শিখতে হবে।

 আর যদি আপনি চান যে কোন কোর্স করার মাধ্যমে এবং কেউ আপনাকে গাইড করবে তাহলে কোথায় শিখবেন তাহলে আপনি একটু খোঁজ নিলেই দেখবেন যে মোবাইল দিয়ে অনেক ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট কোর্স করাচ্ছে তাদের কাছে শিখতে পারেন. বিশেষ করে আমি নিজেই একটা প্লাটফর্মে কোর্স করেছিলাম মোবাইল দিয়ে mos it bd ।  এখানে তাদের সাপোর্ট সিস্টেমটা অনেক ভালো এবং তারা মোবাইল দিয়ে প্রচুর পরিমাণ কাজ শিখায় এবং এখানে সাকসেস রেটটা অনেক ভালো।  তো আপনি চাইলে এখানেও কোর্স করতে পারেন পাশাপাশি আপনার ইচ্ছা মত প্রতিষ্ঠান আপনি খুঁজে দেখতে পারেন।

ইউটিউবে যে পরিমাণ ভিডিও রয়েছে আমি মনে করি আপনি যদি বড় বড় কাজও শিখেন এক টাকা খরচ না করেও শিখতে পারবেন শুধু নিয়মিত প্র্যাকটিস করতে হবে এবং আপনার সঠিক রোড ম্যাপ টার্গেট করে কন্টিনিউ কাজ করে যেতে হবে তাহলে ইউটিউব দেখে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার বা একজন উদ্যোক্তা হতে পারবেন।  কারণ ইউটিউবে বেসিক থেকে এডভান্স লেভেলের সকল কিছু শেখার কোর্স রয়েছে। তবে আপনি কার কাছে শিখবেন এটা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আপনি যাকে মেন্টর হিসেবে গ্রহণ করবেন প্রথমে তার সম্পর্কে আগে ভালোভাবে খোঁজখবর নিবেন এবং বেশ কিছুদিন ধরে youtube এ ঘাটাঘাটি করার পর আপনি কার ভিডিও আপনার কাছে ভালো মনে হচ্ছে এবং সহজে বুঝতে পারছেন এবং তার কমেন্ট এবং ফ্যান ফলোয়ারের রিভিউ ভালো মনে হচ্ছে এরকম একটা লোকের কাছ থেকে আপনি ভালো করে একটা রোড ম্যাপ নিয়ে তারপরে আপনি শেখার যাত্রার শুরু করতে পারেন এবং ছয় মাস এক বছর শেখার পর আপনি অবশ্যই একটা ভালো স্ক্রিল অর্জন করতে সক্ষম হবে।

 কাজ কোথায় পাবেন

 আপনি যখন নিজে বুঝতে পারবেন যে আপনি কাজটা ভালো রপ্ত করতে পেরেছেন তখন আপনি ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার এ ধরনের মার্কেটপ্লেসের একটা অ্যাকাউন্ট খুলবেন। তারপরে অ্যাকাউন্টটা সঠিকভাবে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত বায়োগ্রাফি সম্পন্ন করার পর গীগ পাবলিশ করবেন এবং নিয়মিত একটিভ থাকবেন তাহলে দেখবেন আপনার কিছুদিন পরে কাজ আসা শুরু হয়ে যাবে।  এবং বায়ারের সাথে ভালোভাবে কমিউনিকেশন করতে পারলে আপনি অনেক কাজ পেয়ে যাবেন।

তাছাড়া আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ফেসবুক,ইনস্টাগ্রাম, লিনডিন এ একাউন্ট ক্রিয়েট করুন তারপর সেই একাউন্ট গুলোতে আপনার স্কিল  নিয়ে পোস্ট করুন।নিয়মিত পোস্ট করতে থাকুন এবং দেখবেন কিছু সময় পর আপনাকে কেউ না কেউ কাজ এর ব্যাপারে মেসেজ করা শুরু করে দেবে। তখন আপনি মার্কেট প্লেসের বাইরের সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও কাজ পেয়ে যাবেন।

 একটা বিষয় একটু খেয়াল করে দেখলে আপনি সহজে কাজ পেয়ে যাবেন সেটা হচ্ছে অনেকেই এই সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে কাজের পোস্ট করে থাকে। আপনি যদি এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে রেগুলার দেখেন যে কেউ কোনো কাজের পোস্ট করছে নাকি। তাহলে আপনি অনেক জব পোস্ট দেখতে পারবেন।সেগুলোতে আপনি চেষ্টা করেও কাজ পেয়ে যাবেন।

আমার শেষ কথা 

মোবাইল দিয়ে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা অবশ্যই শুরু করতে পারবেন একটু সময় নিয়ে ইউটিউব,ফেসবুকে এবং গুগলে ঘাটাঘাটি করুন পাশাপাশি কোন ধরনের কোর্স করতে পারেন যা আপনাকে খুবই তাড়াতাড়ি সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পর আপনার যখন ইনকাম শুরু হয়ে যাবে তারপরে ইনকামের টাকা দিয়ে আপনি একটা ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার কিনে নেবেন এবং তখন থেকে আরও ভালো করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

আগের পোস্ট পড়ুন পরের পোস্ট পড়ুন
এখনো কেউ কমেন্ট করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন

comment url