বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে এই পোস্টটি লেখা হয়েছে।এই পোস্টটি পড়লে আর্টিকেল লেখার সম্পূর্ণ নিয়ম-কানুন জানতে পারবেন এবং সুন্দর করে একটা আর্টিকেল লিখতে পারবেন। আপনি যদি নিজে ওয়েবসাইটে আর্টিকেল নিয়ে কাজ করতে চান পাশাপাশি আপনি যদি ইচ্ছা করেন যে আপনি কারো হয়ে আর্টিকেল রাইটিং করবেন তাহলে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। এই পোস্ট সম্পূর্ণ পড়লে আপনি একদম সঠিকভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের কিছু কথা
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মে টাইটেল
- বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মে ভূমিকা
- তারপর পোস্ট সূচিপত্র আর্টিকেল লেখার নিয়মে
- সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখুন প্যারা করে
- আর্টিকেলে ইমেজের ব্যবহার
- আর্টিকেল লিখার নিয়মে ছবি আপলোড করা
- লাইন গ্যাপ ও পোস্ট ফরমেটিং
- আর্টিকেল লেখার নিয়মে ফোকাস কিওয়ার্ড
- আর্টিকেল লিখার নিয়মে বডিতে লিখুন
- আর্টিকেল লেখার ভবিষ্যৎ
- আর্টিকেল লিখে ফ্রিল্যান্সিং
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মের কিছু কথা
আপনি যদি বাংলা বা ইংরেজিতে আর্টিকেল লিখতে চান। তাহলে আপনাকে আগে জানতে হবে আর্টিকেল কি আর্টিকেল, কিভাবে লিখতে হয় এবং গুগল কোন ধরনের আর্টিকেল কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এই বিষয়গুলো না জানলে আপনি সঠিকভাবে আর্টিকেল লিখতে পারবেন না আর যদি কোনরকম লিখে ফেলেন আর্টিকেল গুগলে র্যাঙ্ক করবে না. গুগলের র্যাঙ্ক না করলে আপনার আর্টিকেল লিখার কোন ফায়দায় হবে না।
এই পোস্টটিতে আর্টিকেল লিখার সকল নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেগুলো সম্পূর্ণ মেনে আপনি একদম সঠিকভাবে আর্টিকেল লিখতে পারবেন যা গুগলে রেঙ্ক হবে এবং আপনি চাইলে এই আর্টিকেল রাইটিং দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন তাছাড়া আপনি যদি পার্সোনাল ব্লগার এ ব্লগিং করতে চান এই পোস্টটির সম্পূর্ণ আপনার জন্যই আপনি একদম জিরো থেকে সম্পূর্ণ রাইটিং শিখে যাবেন এজন্যই এই পোস্টটি সম্পূর্ণ সুন্দরভাবে পড়ুন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মে টাইটেল
আর্টিকেল লিখার সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে একটা ভালো আকর্ষণীয় টাইটেল। একটা পাঠক আপনার পোস্টটা পড়বে কি পড়বেনা সেটা বেশিরভাগ নির্ভর করে আপনার টাইটেলটা কি রকম। একটা সমীকরণে দেখা গেছে যে পাঠকেরা বেশিরভাগ টাইটেল দেখে চিন্তা করে যে আমি এই পোস্টটা পড়ব কি পড়বো না অথবা এই পোস্টটাতে যাব নাকি চলে যাব অন্য কোথাও এজন্য একটা আকর্ষণীয় টাইটেল দেয়ার জন্য দিতে হবে।
আর টাইটেলটা দিতে হবে পাঁচ থেকে আট শব্দের ভিতরে যাতে যে কেউ আপনার পোষ্টের টাইটেল সম্পূর্ণ দেখতে পায়। এবং আপনাকে পোস্ট লেখার আগে যে টাইটেল দিতে চাচ্ছেন সে বিষয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে এবং ভালো করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার পরে আপনাকে দেখতে হবে যে আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন বা সেই টাইটেল নির্বাচন করতে চাচ্ছেন সেটা আগেও আপনি করবেন কিনা তারপরে ওই কিওয়ার্ড দিয়ে আকর্ষণীয় ভাবে টাইটেলটি লিখুন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মে ভূমিকা
টাইটেল লেখার পরে আপনাকে সুন্দর করে ভূমিকা লিখতে হবে এবং আপনার ভূমিকাটা আকর্ষণীয় এবং মানসম্মত করে লিখতে হবে যাতে আপনার পাঠকেরা সহজে বুঝতে পারে আপনার ভূমিকা পড়েই যে আপনি পুরো পোস্টটাকে কিভাবে সাজিয়েছেন এবং পোস্টটাতে কি বলতে চেয়েছেন এজন্য আপনার ভূমিকা দেখে সহজে বুঝতে হবে আপনার পুরো পোস্ট সম্পর্কে ভূমিকা চার থেকে পাঁচ লাইনে লিখবেন এবং পোস্টে কি থাকছে সেই বিষয়ে পরিষ্কার করে ভূমিকাটা লিখবেন।
ভূমিকা বাটন
আপনার আর্টিকেল রাইটিং কে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয় করতে আপনার টাইটেলের সাথে আপনি একটা ভূমিকা বাটন ব্যবহার করতে পারেন যেটা আপনার পোস্টকে দেখতে অনেক সুন্দর আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং এই বাটনের আপনি আরেকটা পোষ্টের লিংক দেওয়ার ফলে আপনার পাঠক আপনার একটা পোস্ট পড়তে এসে আর একটা পোস্টে সময় কাটাবে যা আপনার ভালো একটা ইম্প্রেশন সৃষ্টি হবে এবং ভূমিকা বাটন রাখলে পোস্ট দেখতে অনেক সুন্দর হয়।
তারপর পোস্ট সূচিপত্র আর্টিকেল লেখার নিয়মে
টাইটেল ভূমিকা এবং ভূমিকা বাটনের পরে এখন আপনাকে পোস্টে কি কি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে তার একটা সূচিপত্র তৈরি করুন যাতে আপনার পাঠকের আর সহজেই বুঝতে পারে যে আপনার পোস্টে কোন পয়েন্টে কি সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং পাঠকের যদি কোন নির্দিষ্ট স্পেসিফিক পয়েন্ট নিয়ে জানার আগ্রহ থাকে সে সহজেই সূচিপত্র দেখে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে সহজেই পড়ে ফেলতে পারবে এতে করে তার সময় নষ্ট হবে না এবং সে বিরক্ত বোধ হবে না। এজন্য প্রত্যেকটা পোস্ট লেখার সময় সূচিপত্র অবশ্যই তৈরি করতে হবে।
সূচিপত্র আর্টিকেল রাইটিং এর একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সূচিপত্র থাকলে পাঠকেরা নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে জানার ইচ্ছা থাকলে তা সহজেই জেনে নিতে পারে এতে তাদের বিরক্তি অনুভব আসে না আর সূচিপত্র তৈরি করলে রাইটিং টা দেখতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় লাগে এজন্য বর্তমানে প্রতিটি কন্টেন্ট রাইটাররা তাদের কনটেন্টের সূচিপত্র অবশ্যই তৈরি করে এবং সূচিপত্র তৈরি করলে গুগল আপনার কনটেন্টকে বেশি গ্রহণযোগ্যতা দিয়ে থাকে।
সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখুন প্যারা করে
আর্টিকেল যদি ছোট ছোট প্যারা করে লিখা হয় তাহলে এটা দেখতেও অনেক ভালো লাগে এবং পাঠকেরা সহজেই আর্টিকেল পড়তে পারে এবং তারা আর্টিকেল পড়তে বিরক্তি অনুভব করে না। এজন্য আর্টিকেল লিখতে হলে রচনার মত অনেক বড় করে লিখার চলবে না আপনাকে ৪-৫ লাইনে প্যারাফেরা করে আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে করে এটা দেখতে প্যারাগ্রাফের মত ছোট মনে হয় এবং সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে আপনার আর্টিকেল পড়তে পারে। কারণ কেউ। তেমন একটা রচনা লিখতে হবে যাতে সবাই সহজে পড়তে পারে ।
এবং একটা আর্টিকেলে কমপক্ষে দশটা প্যারা থাকতে হবে। যা একটা আর্টিকেলের গুণগতমানকে বৃদ্ধি করে পাশাপাশি দেখতে আকর্ষণীয় লাগে। আর প্রতিটি হেডিং এর কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি প্যারা দিন এবং প্রতিটি হেডিং এর সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয়টা প্যারা দিয়ে আপনি আর্টিকেল লিখুন এভাবে প্যারা আকারে আর্টিকেল লিখলে আপনার আর্টিকেলটি অনেক আকর্ষণীয় লাগবে এবং পাঠকেরা স্বাচ্ছন্দে আপনার আর্টিকেল পড়বে।
আর্টিকেলে ইমেজের ব্যবহার
আমরা কোন লেখা পড়ার পাশাপাশি যদি নির্দিষ্ট কোন ছবি দেখি তাহলে ওই বিষয়টা আমাদের মাথায় ভালোভাবে গেঁথে যায় বা আমরা বিষয়টা সহজেই মনে রাখতে পারি যে এটা কি । এবং এখানে কি নিয়ে লেখা হয়েছে। আপনি যে বিষয়ে লেখালেখি করবেন পাশাপাশি সেই ধরনের সামঞ্জস্য রেখে দুই থেকে তিনটি ফিচার ইমেজ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন যেটা আপনার আর্টিকেলকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং আপনার পাঠকরা সহজে আর্টিকেলটা বুঝতে সক্ষম হবে।
আর্টিকেলে স্ক্রিনশট
আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে পাঠকের সঠিকভাবে বোঝাতে চান আপনি সে বিষয়টার স্ক্রিনশট ব্যবহার করতে পারেন। কোন বিষয়ে স্ক্রিনশট দেওয়া হলে সে বিষয়টা লেখা থেকে অনেক ভালো বোঝা যায় আর যদি লেখার পাশাপাশি স্ক্রিনশট দেওয়া হয় তাহলে তো বিষয়টা অনেক সুন্দর দেখায় এজন্য আপনি কোন বিষয় নিয়ে যদি আপনার পাঠকদের স্পেসিফিক ধারণা দিতে চান বা নির্দিষ্ট করে বোঝাতে চান তাহলে সুন্দর করে স্ক্রিনশট ব্যবহার করতে পারেন এবং সঠিক নিয়মে স্ক্রিনশট ব্যবহার করতে হবে।
আপনাকে স্ক্রিনশটটা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করতে হবে তাছাড়া আপনার স্ক্রিনশট যদি ঠিকঠাক না হয় তাহলে আপনার পাঠকেরা বিষয়টা বুঝতে পারবে না এবং অনেক বিরক্ত বোধ করবে এবং স্ক্রিনশটে থাকা ওবাঞ্ছিত বিষয়গুলো আপনাকে এডিট মডিফাই করে তারপরে পোস্টে ব্যবহার করুন। কিভাবে সঠিক নিয়মে স্ক্রিনশট নিবেন নিচে এই ছবিটি একটু ধারণা নিতে পারেন।
আর্টিকেল লিখার নিয়মে ছবি আপলোড করা
আপনি আপনার আর্টিকেলে যখন কোন ছবি আপলোড করবেন সেটা ইউনিক অথবা নতুন ছবি না হলে গুগল থেকে কপিরাইট আসার কারণে আপনার ওয়েবসাইটের সমস্যা হতে পারে এজন্য আপনি ছবি নিজে থেকে ডিজাইন করে অথবা এয়াই দিয়ে ছবি জেনারেট করে তারপরে আপনার আর্টিকেলে আপলোড করবেন অথবা গুগল ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স ব্যবহার করে আপনি ছবি আপলোড করবেন।
গুগল থেকে কিভাবে সঠিকভাবে ছবি ডাউনলোড করে তারপরে আপনার ওয়েবসাইটে আপলোড করবেন এই পুরো প্রসেসটা এই ছবিতে দেখানো হলো যা দেখলে আপনি সঠিকভাবে একটা ছবি গুগল থেকে ডাউনলোড করেও আপনার ওয়েবসাইটে আপলোড করতে পারেন যেটাতে কপিরাইট আসার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে এগুলো গুগল সবাইকে ব্যবহার করার জন্য পারমিশন দিয়ে থাকে।
লাইন গ্যাপ ও পোস্ট ফরমেটিং
একটা মানসম্মত আর্টিকেল লিখতে আপনাকে পোস্ট ফর্মেটিং ঠিকঠাক রাখতে হবে এবং প্যারা করে ছোট ছোট করে পোস্ট লিখতে হবে যেটা দেখতে অনেক মানসম্মত এবং আকর্ষণে দেখায় তবে আপনি আবার যদি প্যারা করতে গিয়ে অতিরিক্ত লাইন গ্যাপ দিয়ে ফেলেন এখানেও আপনার পোস্টটাকে ভালো দেখায় না এজন্য প্রয়োজন হলে এক লাইনের বেশি গ্যাপ দিবেন না।
পোস্ট ফরমেটিং বলতে আপনার লিখাগুলোকে গোছালো আকারে আপনার পোস্টে রাখতে হবে। পোস্ট লেখার পর সমস্ত পোস্টকে সিলেক্ট করে আপনি এলাইন থেকে জাস্টিফাই এলাইনমেন্ট করে দিবেন যেটা আপনার পোস্টকে আকর্ষণীয় করে তুলবে এবং পোস্টে ব্যবহৃত ফিচার ইমেজের এলাইনমেন্ট টা করে দিবেন সেন্টার মানে মাঝে থাকতে হবে। এই নিয়ম মেনে আপনার লাইনগুলো সাজাতে হবে।
আর্টিকেল লিখা নিয়মে পোস্ট আরো পড়ুন এবংলিঙ্কিং
গুগলে আপনার পোস্ট র্যাঙ্ক করাতে চাইলে গুগলের নিয়ম অনুযায়ী আপনার পোস্টে অনেকগুলো ইন্টারনাল বা এক্সটার্নাল লিঙ্ক থাকতে হবে যেটা আপনাকে র্যাংক করাতে সহযোগিতা করবে এবংগুগল আপনার পোস্টকে অগ্রাধিকার দেবে। এজন্য পোস্টে আরো পড়ুন সেকশন তৈরি করুন এবং এখানে অন্য পোস্টের লিংক দিয়ে রাখুন পাশাপাশি আপনার পোস্টে মাঝে মাঝে টেক্সট লিংক করতে পারেন এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার পোস্ট যদি কোন সফটওয়্যার বা অ্যাপ নিয়ে হয়ে থাকে তাহলে আপনি আপনার পোষ্টের মধ্যে সেই অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য একটা উন একটা বা প্রয়োজনীয় কয়েকটি ডাউনলোড বাটনে সেই অ্যাপসের লিংক দিয়ে দিতে পারেন যা আপনার পাঠকের প্রয়োজন অনুযায়ী সহজেই সেই সফটওয়্যার বা অ্যাপসটি ডাউনলোড করে নিতে পারবে। এটা আপনার পাঠকের জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। এবং ডাউনলোড বাটনের কারণে আপনি আপনার পাঠককে একটা ভ্যালু দিতে পারবেন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মে ফোকাস কিওয়ার্ড
আপনি যদি আপনার আর্টিকেলটি গুগলে সার্চ পেজে র্যাঙ্ক করতে চান তাহলে আপনার আর্টিকেলটি এসইও বান্ধব করে লিখতে হবে আর এসেও বান্ধব করে লেখার প্রথম সত্যই হচ্ছে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড টি আপনার আর্টিকেলে অন্তত দশ বার ব্যবহার করতে হবে যে আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড যত বেশি থাকে গুগল সেই আর্টিকেলটাকে তত অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে এজন্য ফোকাস কিওয়ার্ড আপনার আর্টিকেলে অন্তত ১০ বার রাখুন।
ফোকাস কিওয়ার্ড কি
ফোকাস কিওয়ার্ড হলো একটি আর্টিকেলের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া কোন আর্টিকেল এর সঠিকভাবে এসইও সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ফোকাস কিওয়ার্ড বলতে কনটেন্ট এ নির্দিষ্ট যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি যেই কিওয়ার্ড নিয়ে লেখা হয়েছে যেমন ধরেন আমি এই কনটেন্টটি লিখছি বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে এটাই হচ্ছে এই কন্টেন্টের ফোকাস কিওয়ার্ড আর এটা আমি এই কন্টাক্ট এ অনেক কয়বার ব্যবহার করেছি যেটা গুগলে রান করতে বা এসেও রেজাল্ট অনেক ভালো হবে।
ফোকাস কিওয়ার্ডের গুরুত্ব
এস ইউ র্যাংকিং বৃদ্ধি করতে বা সার্চ ইঞ্জিনে আর্টিকেলটি ভালোভাবে রেংক করার জন্য ফোকাস কিওয়ারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পালন করে এটিই সার্চ ইঞ্জিনকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে সহায়তা করে। এবং পাঠকের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে সেই বিষয়ে ফোকাস কিওয়ার্ড থাকে পাঠক যখন ওই বিষয়ে গুগলে সার্চ দেয়। পাশাপাশি প্রকাশ সঠিকভাবে তাহলে ওয়েবসাইটে ট্রাফিকের আনাগোনা বৃদ্ধি পায় কন্টেন্ট রাইটিং এর বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফোকাস কি ওয়ার্ড আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তুর সম্পর্কিত তথ্য প্রদান করে যা আপনার পাঠকদের এই বিষয়ে ধারণা দেয়।
আর্টিকেল লিখে কপি পেস্ট
আপনি ব্লগার ওয়েবসাইট বা আপনার রাইটিং ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অন্য কোথাও যেমন এমএস ওয়ার্ড অথবা গুগল ডক ফাইলে যদি আর্টিকেল লিখে সেখান থেকে কপি করে এনে ওয়েবসাইটে পেস্ট করে দেন তাহলে সেখান থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় file আপনার লেখার সাথে চলে আসে যা আপনার আর্টিকেলকে অনেক ভারী করে দেয় যে কারণে ুগলে ভালোভাবে র্যাঙ্ক হয় না এজন্য আপনি চেষ্টা করুন যে আর্টিকেল ওয়েবসাইটেই লিখার জন্য। এবং অন্য কোথাও থেকে কপি করে এনে আর্টিকেল লিখবেন না।
আর্টিকেল লিখার নিয়মে বডিতে লিখুন
একটা পারফেক্ট আর্টিকেল লেখার মধ্যে ন্যূনতম পাঁচটা হেডিংদিয়ে একটা আর্টিকেল লিখতে হবে। তাছাড়া একটা আর্টিকেলে সর্বনিম্ন দশটা প্যারা দিয়ে আর্টিকেল লিখুন যেটা অনেক মানসম্মত সুন্দর দেখায় আর্টিকেলটা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগে। কোন কিছুর বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আলোচনা করার সময় প্যারাগ্রাফ এর মত লাইনের পর লাইন দিয়ে না লিখে চেষ্টা করুন বুলেট লিস্টিং করে লেখার এতে অনেক সুন্দর দেখায় আর্টিকেল।
আর একটা আর্টিকেলে সর্বনিম্ন ৬০০ থেকে ২-৩ হাজার ওয়ার্ডের শব্দ রাখুন। যে আর্টিকেলে যত বেশি শব্দ দিয়ে লেখা হয় গুগল সেই আর্টিকেলটাকে প্রাধান্য বেশি দিয়ে থাকে এবং গুগল এর প্রথম পেজ পেজে র্যাংক করিয়ে থাকে এজন্য আর্টিকেল লিখতে কমপক্ষে ১০০০ শব্দের উপরে আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করুন যাতে সহজেই আপনার আর্টিকেলটি রান করবে এবং আর্টিকেল একদম ছোট হলে দেখতেও ভালো লাগেনা এবং তেমন ইনফরমেশনও দেওয়া যায় না।
আর্টিকেলের ভাষা
আর্টিকেলে বন্ধুসুলভ ভাষা বা চলিত ভাষা ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখতে হবে যেমন তুমি আপনি এসব ভাষা ব্যবহার করে আর্টিকেল লিখলে আপনার পাঠক এটা মনে করবে যে আমি কারো সাথে গল্প করছি আর্টিকেলটা পড়তে অনেক ভালো লাগবে এবং মনে হবে যে আমার সামনে কেউ আমার সাথে কথা বলছে এজন্য আপনার আর্টিকেল লিখতে অবশ্যই চলিত ভাষা ব্যবহার করুন।
ইমেল নোটিফিকেশন
বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়মে প্রতিটা ওয়েবসাইটে নতুন পোষ্টের ইমেইল নোটিফিকেশন পদ্ধতি চালু রাখতে হবে যাতে পাঠকরা নতুন কোন পোস্ট পাবলিক হলে সহজেই নোটিফিকেশন পায়। নোটিফিকেশন পাওয়ার কারণে তারা নতুন নতুন পোস্ট সম্পর্কে সহজে জানতে পারবে এবং পোস্টগুলো পড়বে এজন্য আপনার ওয়েবসাইটে ইমেইল নোটিফিকেশন চালু রাখার চেষ্টা করুন। এই পদ্ধতি আপনার ওয়েবসাইটে যারা রেগুলার পোস্ট পড়ে থাকে তাদের সাথে সম্পর্কটা অনেক দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে।
আর্টিকেল লেখার ভবিষ্যৎ
আমরা কোন কিছু খোঁজা বা জানার জন্য গুগলে নানা ধরনের স্যার করে থাকে আর গুগল আমাদের সেই সম্পর্কিত অনেক ধরনের ফলাফল দেখায়।আমরা গুগলে কোন কিছু সার্চ করলে যা কিছু দেখতে পায় সেগুলো কোন না কোন ওয়েবসাইট থেকে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করার কারণে গুগলে রেংক করে এবং সেগুলো আমরা দেখি। আর যদি এই বিষয়ে গুগলে লেখা না থাকতো তাহলে গুগল কিন্তু আমাদের দেখাতে পারতো।
আমরা গুগলে যখন কোন কিছু জানতে চাই গুগল আমাদের যে ইনফরমেশন গুলো তুলে ধরে সেটা কোন না কোন আর্টিকেল লেখা পোস্ট থেকেই আসে আর এই প্রসেসটা গুগলের কোন ব্যক্তিগত ইনফরমেশন থেকে সম্ভব নয় এজন্য আর্টিকেল রাইটারের প্রয়োজন সব সময়ই আছে এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে এজন্য সঠিক নিয়ম আর্টিকেল রাইটিং করতে পারলে আপনার চাহিদা অনেক রয়েছে এবং এখান থেকে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আর্টিকেল লিখে ফ্রিল্যান্সিং
আপনি যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আপনি পারফেক্ট আর্টিকেল লিখতে সক্ষম হবেন এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস করার ফলে যখন আপনি ভালোভাবে আর্টিকেল রাইটিং করতে পারবেন তখন আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন সেখান থেকে আপনি কাজ নিয়ে ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন আর ফ্রিল্যান্স মার্কেট আর্টিকেল রাইটিং এর চাহিদা অনেক বেশি কারণ প্রতিটা ক্ষেত্রেই আর্টিকেল কোন না কোন ভাবে জড়িয়ে আছে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে আমরা যাই করি না কেন কোন বিজ্ঞাপন বা ব্যবসা-প্রচারণা করার
ক্ষেত্রে আমাদের ভিডিও বা ইমেজ কনটেন্ট তৈরি করতে হয় আর এই কনটেন্টের তৈরি করার
জন্য কিপ রাইটিং করতে হয় আর এটা একজন দক্ষ রাইটারকে দিয়েই লিখানো হয় এজন্য
কন্টেন্ট রাইটিং অথবা আর্টিকেল রাইটিং এর মার্কেটপ্লেস অনেক চাহিদা।
শেষ কথা
আপনি যদি নিজেকে একজন দক্ষ আর্টিকেল লাইটার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে চান তাহলে এই
পোস্টটি যে সব নিয়ম গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেই নিয়মে একটু ভালো করে কিওয়ার্ড
রিসার্চ করে আর্টিকেল লিখুন এবং নিয়মিত প্র্যাকটিস করুন।
এই আর্টিকেলে আমি সম্পূর্ণ আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং
পয়েন্ট আকারে বিষয়গুলো সুন্দর করে বোঝানোর চেষ্টা করেছি এই আর্টিকেলটা সম্পূর্ণ
পড়ে বুঝতে পারলে আপনি একজন ভালো মানের আর্টিকেল রাইটার হতে পারবেন।
এখানে কমেন্ট করুন
comment url