৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়

৭দিনের চিকন হওয়ার উপায়  এবং কি কি খাবার খেলে তাড়াতাড়ি ওজন কমানো যায়, কি ধরনের খাদ্য অভ্যাস মেনে চলতে হবে এ বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ সুন্দর করে আলোচনা করা হবে এই আর্টিকেলে।  একদম খাবার থেকে শুরু করে আপনার কি কি করতে হবে এবং কিভাবে করতে হবে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হবে।

৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়

 যাদের ওজন অনেক বেশি তাদের দৈনুদ্দিন জীবনযাপন বা চলাফেরা অনেক কষ্ট হয়ে থাকে।  তারা সঠিকভাবে কোন কাজের সম্পাদন করতে পারেনা এবং তাদের অনেক ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়ে থাকে। তারা চিকন হওয়ার জন্য অনেক উপায় খুঁজে থাকে। যাতে কিভাবে সহজেই একটু নিয়ম মেনে কোন সার্টিফিকেট ছাড়াই চিকন হওয়া যায়।  তো এই পোস্টটি তাদের জন্য যারা একদম প্রাকৃতিক উপায়ে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই সাত দিনের চিকন হতে পারবে।  

পোস্টে যা থাকছে

৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়

 চিকন হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের বুঝতে হবে যে আমাদের শরীর এবং স্বাস্থ্যটা কিভাবে কাজ করে।  এবং মোটা মানুষেরা কিভাবে মোটা হয় এবং যারা চিকন তাদের চিকন হওয়ার পিছনে কারণ কি।  এখানে কি কোন খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা মোটা হয় অথবা চিকন হয় নাকি।  অন্য কোন কারণ আছে যার কারণে একেক মানুষ অনেক মোটা হয় আবার একেক মানুষ অনেক চিকন হয়। আমাদের শরীর মোটা এবং চিকন হওয়ার পিছনে দায়ী হচ্ছে আমাদের শরীরের মেটাবলিজম হার। 

  আরো পড়ুনঃ স্থায়ী ভাবে ফর্সা হওয়ার উপায়

মেটাবলিজম আমাদের শরীরের খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করার একটা প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার হার কমবেশির কারণে কেউ মোটা আবার কেউ চিকন হয়ে থাকে। মেটাবলিজম প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। ক্যাটাবোলিজম (শক্তি মুক্তির প্রক্রিয়া) এবং অ্যানাবোলিজম (শক্তি সঞ্চয়ের প্রক্রিয়া)।আর আমাদের এই মেয়েটা বলেজমের প্রক্রিয়া একটু ভালোভাবে বুঝতে হবে।

 যারা মোটা তাদের শরীরের মেটাবলিজম হার অনেক কম। যার কারণে তাদের শরীর থেকে ক্যালরি বাড়ানো হয় কম। এ কারণে তাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা পড়ে যায় সেখানে তাদের মেদ জমা শুরু হয় এবং তারা আস্তে আস্তে মোটা হয়ে যায়। আর চিকন হওয়ার জন্য আপনার শরীরের মেটাবি রিলিজম বৃদ্ধি করতে হবে।  আপনার শরীরের মেটাবলিজম হাড় যত তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি করতে পারবেন তত তাড়াতাড়ি আপনি ক্যালরি ব্রাউন করে চিকন হয়ে যাবেন।   

মেটাবলিজমের প্রভাব

ক্যালোরি বার্ন: মেটাবলিজমের গতি যত দ্রুত হবে, তত বেশি ক্যালোরি শরীর বার্ন করবে। এটি দেহের বেসাল মেটাবলিক রেট (BMR) দ্বারা নির্ধারিত হয়, যা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ছাড়াই শরীরের ক্যালোরি পুড়িয়ে ফেলার হার।

শরীরের গঠন: বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন মেটাবলিজমের কারণে তাদের শরীরের গঠন ভিন্ন হয়ে থাকে। কিছু মানুষের মেটাবলিজম দ্রুত হলে তারা সহজে চিকন হতে পারে, যেখানে অন্যরা মোটা হতে পারে।

৭ দিনে চিকন হওয়ার উপায়

হারমোনাল প্রভাব: হরমোন যেমন থাইরয়েড হরমোন এবং ইনসুলিন মেটাবলিজমের গতি নির্ধারণ করে। এই হরমোনের অস্বাভাবিকতা মেটাবলিজমকে প্রভাবিত করতে পারে এবং ওজনের পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

এখন আপনাকে চিকন হওয়ার জন্য মেটাবলিজম হাড় বাড়াতে হবে। কিভাবে মেটাবলিজম তাড়াতাড়ি বাড়ে এ বিষয় নিয়ে এখন আলোচনা করা হবে।  তো চলুন জেনে নেই মেটাবলিজম হওয়ার কিভাবে বাড়ানো যায়। 

চিকন হওয়ার বা মেটাবলিজম বাড়ার খাবার অভ্যাস

মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্য খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনি একই খাবার নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে খাওয়ার কারণে তাড়াতাড়ি ফিল্ম হতে পারবেন আবার একই খাওয়ার অনিয়ম করে খাওয়ার কারণে অন্যকে মোটা হয়ে যায়।  এজন্য আপনাকে একদম সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবার গ্রহণ অভ্যাস তৈরি করতে হবে। এবং একটা দিনে আপনাকে পাঁচ থেকে ছয় বার অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে যার ফলে আপনার খুদা কম লাগবে কিন্তু মেটাবলিজম হওয়ার অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং অল্প খাওয়ার কারণে আপনি তাড়াতাড়ি ক্যালোরি বার্ড করতে পারবেন। আপনার খাদ্য অভ্যাসের সম্পূর্ণ নিয়মকানুন নিচে আলোচনা করা হলো।

 সকালের নাস্তা

  •  প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ    ডিম (সেদ্ধ বা পোজ),  দই,
  •  শস্যজাতীয় খাবারঃ         রুটি বা ব্রাউন ব্রেড
  •  সালাদঃ                         টমেটো, শসা, গাজর

সকালের হালকা খাবার

  •  ফলমূলঃ    আপেল, কমলা, পেয়ারা
  •  বাদামঃ বিভিন্ন ধরনের বাদাম বাদামে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে

 দুপুরের খাবার

  •  প্রোটিন ও শাকসবজি এক কাপ সেদ্ধ ডাল বা মাছ মুরগির মাংস।
  •  গোটা শস্য ব্রাউন রাইস বা লাল চালের ভাত যাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং পুষ্টি রয়েছে এবং রুটি খেতে পারেন।
  •  সালাদ টমেটো শসা গাজর পাশাপাশি বাঁধাকপি দিয়েও খেতে পারেন।

বিকালের হালকা খাবার

  •  গ্রিন টি গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  •  ব্রাউন ব্রেড গ্রিনটির পাশাপাশি আপনি ব্রাউন বেড খেতে পারেন।

 রাতের খাবার

  •  প্রোটিন ও শাকসবজি  গ্রিল করা মাছ বা মুরগির মাংস সাথে শাকসবজি।
  •  হালকা খাবার ব্রাউন ব্রেড  এবং লাল চালের ভাত খেতে পারেন অল্প করে।

 ঘুমানোর আগে

  •  লেবু পানি বা হালকা গরম পানি  শরীরের পেট পরিষ্কার বলিসম বাড়ানোর জন্য ঘুমানোর আগে লেবু পানি খেতে পারেন পাশাপাশি হালকা কুসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু দিয়ে খেতে পারেন।

চিকন হওয়ার জন্য সঠিকভাবে পানি পান

 ওজন কমাতে পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ পানি সঠিকভাবে পান করা হলে আপনার মেটাবলিজম খুব দ্রুত বাড়াতে সক্ষম হবে এবং আপনি খুব তাড়াতাড়ি চিকন হতে পারবেন।  আর পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম না জানলে আপনি তাড়াতাড়ি বাড়াতে পারবেন না এজন্য এখানে কিছু পানি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

 খাওয়ার আগে পানি পান

 প্রতিবার খাবারের ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস পানি পান করুন এটি খুদা কমায় এবং খাবার গ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে খাবারের আগে পানি পান করলে ১২ থেকে ১৫% হতে পারে এক গ্লাস পানি পান করুন।

 সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান

 সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক থেকে দুই গ্লাস কুসুম গরম পানি পান করুন। এই গরম পানিতে আপনি চাইলে একটু মধু দিতে পারেন এটা আরো বেশি তাড়াতাড়ি ফ্যাট কমাতে পারে। এবং এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।

 ঠান্ডা পানি পান করুন

 কিছু সময় পর পর ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসার জন্য ক্যালরি বার্ন হয় তবে খুব বেশি ঠান্ডা পানি না খাওয়াই ভালো বা ফ্রিজের পানি একদমই খাবেন না।

ব্যায়ামের আগে ও পরে পানি পান

 ব্যায়ামের ৩০ মিনিট আগে একগ্লাস পানি পান করুন এবং ব্যায়াম শেষে শরীরের পানি চাহিদা পূরণ করতে আবার পানি পান করুন। এতে ব্যায়ামের কার্যকারিতা বাড়বে এবং ক্যালরি বাড়নের সহায়ক হবে এবং দ্রুত মেটাবলিজম বৃদ্ধি পাবে।

 প্রচুর পরিমাণে পানি পান

 আপনাকে তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য দিনে 10 থেকে 12 ক্লাস পানি পান করতে হবে। যা শরীরকে রাখবে এবং খুবই তাড়াতাড়ি বাড়াবে এজন্য অবশ্যই বেশি থেকে বেশি পরিমাণ পানি পান করুন।

 ক্ষুধা লাগলে প্রথমে পানি পান

 অনেক সময় আমাদের তৃষ্ণাও খুদার মধ্যে পার্থক্য বোঝা কঠিন হয়ে যায়। এজন্য খিদে লাগলে প্রথমে এক গ্লাস পানি পান করুন এতে ক্ষুধা কমবে এবং অতিরিক্ত খাবার এড়ানো সম্ভব।

 গরম পানির চা বা গ্রিন টি পান

 গ্রিন টি বা লেবু পানি পান করলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এজন্য তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য বা শরীরের মেদ কমানোর জন্য অবশ্যই নিয়মিত গ্রিন টি পান করতে হবে।গ্রিন টি খুব দ্রুত শরীরে মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে।

 ওজন কমানোর জন্য ব্যায়াম

 তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে বা চিকন হওয়ার জন্য উচ্চ ক্যালরি বার্ন এবং কার্যকরী ব্যায়াম দরকার কারণ ব্যায়াম করলে তাড়াতাড়ি মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের ক্যালরি বার্ন হয় প্রচুর পরিমাণে যা আপনার চিকন হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নিয়ম মেনে প্রত্যেকদিন খাবারদাবারের পাশাপাশি সঠিকভাবে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন নিচে কিছু ব্যায়াম সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

কার্ডিও ব্যায়াম

 কার্ডিও ব্যায়াম দ্রুত ক্যালরি বার্ন করে মেটাবলিজম বাড়ায় এবং ওজন কমাতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

  •  দৌড়ানো শুরুতে হালকা দৌড়ান এবং ধীরে ধীরে গতি বাড়ান এভাবে দিনে 20 থেকে 30 মিনিটের দৌড়ানোর ব্যায়াম করুন আপনি পারলে আস্তে আস্তে বাড়ি আরও বেশি করতে পারেন
  •  জগিং প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট জগিং করতে পারেন এটি শরীরের অধিকাংশ অংশ অংশের মাংসপেশির উপর কাজ করে এবং শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।
  •  সাইকেলিং সাইকেল চালানোর সুযোগ থাকলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট সাইকেল চালান এটি পায়ের মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে এবং দ্রুত ক্যালরি বার্ন করে পাশাপাশি শরীরের মেদ কমায়।
  •  দড়ি খেলা  এই যেমন শরীরের সম্পূর্ণ পিসিকে একটিভ করে এবং শরীরের সম্পূর্ণ মাসেল একটিভ হয়ে যায় এজন্য এই ব্যায়াম মেটাবলিজম বাড়াতে খুবই কার্যকরী।
  •  সাঁতার কাটা  আপনি সাঁতার কাটতে পারলে সাঁতার কাটতে পারেন এবং আপনার শরীরের মেটাবলিজম বাড়াবে।
  •  হাটাহাটি করা  তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য আপনি যদি দৌড়াদৌড়ি করতে না পারেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই দিনে আধা ঘন্টা হাটাহাটি করতেই হবে এবং একটু জোরে জোরে হাটার চেষ্টা করুন।

 পেটের ব্যায়াম

  •  প্ল্যাঙ্ক শরীরকে সোজা রেখে হাতের উপর ভর দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ধরে রাখুন এভাবে আস্তে আস্তে সময় বাড়ান এবং দিনে দুই থেকে তিনবার করার চেষ্টা করুন।
  •  সিট আপ    আপনি ঘরের মেঝেতে অথবা বাহিরে উঠানে গিয়ে 10 থেকে 15 বার করে উঠবস করুন এবং দিনে ২-৩ সেট করার চেষ্টা করুন।
  •  পুষ আপ   পুশআপ সিট আপের মতই কিন্তু এটা হাতের উপর ভর দিয়ে আপনাকে উঠবস করতে হয়  10 থেকে 15 বার প্রসাব দেয়ার চেষ্টা করুন এবং 2 থেকে3 সেটে করার চেষ্টা করুন।

 এবং আপনি চাইলে গাইড পরিশ্রম করতে পারেন এগুলো শরীরের শারীরিক অ্যাক্টিভিটিকে অনেক বাড়িয়ে দেয় এবং বৃদ্ধি করে এবং পাশাপাশি খেলাধুলা করার চেষ্টা করুন আপনার মন কেউ ভালো রাখবে প্লাস আপনার বৃদ্ধি হবে।

৭ দিনে ওজন কমাতে কি কি পরিত্যাগ করতে হবে

 তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর জন্য আপনার সঠিক অভ্যাস নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে এবং ঠিকঠাক মতো খাবারদাবার এর পাশাপাশি নিয়ম মত ব্যায়াম করতে হবে এবং কিছু কাজ আছে যেগুলো থেকে আপনার বিরত থাকতে হবে এবং কিছু খাবার দাবার যেগুলো আপনার খাওয়া যাবে না চলুন যেগুলো আপনি খেতে পারবেন না এগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করি।

 চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার

 বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম সোডা এবং মিষ্টি পানীয় জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ চিনিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি আছে যা শরীর মেটাবলিজম কমিয়ে দেয় এবং শরীরে জমে।

 ফাস্টফুড এবং প্রসেসড ফুড

 বার্গার পিজ্জা ফ্রাইড চিকেন চিপস এবং প্রসেস মাংসের খাবার যা আপনার শরীরের প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট  জমাবে এবং আপনার ওজন বৃদ্ধি করে।

 সাদা চাউল ও সাদা পাউরুটি

 সাদা ভাত এবং সাদা পাউরুটি পরিত্যাগ করতে হবে এর পরিবর্তে আপনাকে ব্রাউন প্রাইস এবং ব্রাউন ব্রেড খেতে হবে কারণ সাদা ভাত আর সাদা পাউরুটি প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে।

 অ্যালকোহল ও উচ্চ ক্যালোরি পানীয়

 অ্যালকোহল রিয়ার এনার্জি ড্রিংস এবং উৎস ক্যালোরি চলতে হবে কারণ এগুলো শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে এবং ওজন বাড়ে যার ফলে অ্যালকোহল থেকে একদম বিরত থাকবেন এবং কোনো ধরনের পানীয় জাতীয় খাবার খাবেন না।

 তেল ও চর্বিযুক্ত খাবার

 অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার  ঘি মাখন এবং নানা ধরনের ভাজাপোড়া খাবার থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে কারণ বেশি তেল শরীরে মেদ জমায়।

 অতিরিক্ত লবণ

 আপনাকে অবশ্যই অতিরিক্ত লবণ এবং লবণ দিয়ে তৈরি খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

 শর্করা জাতীয় খাবার

 শর্করা জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাবার কিভাবে কম খাবার খেয়ে আপনি সালাত এবং প্রোটিন দিয়ে আপনার ডায়েট নিয়ম মেনে খেতে পারেন এই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন কারণ অতিরিক্ত শর্করা শরীরে মেদ জমায় এজন্য ভাত আলু ভুট্টা এই ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকুন।

আমি ৭ দিনের চিকন হওয়ার উপায় সম্পর্কে সুন্দর করে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এখন আপনি আপনার সুবিধা মত ডায়েট, ব্যায়াম এবং খাবার নিশ্চিত করে সঠিক নিয়মে নিয়মিত আপনি সেই ডায়েট মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনি খুব তাড়াতাড়ি চিকন হয়ে হতে পারবেন এবং ওজন কমে যাবে।

শেষ কথা 

৭ দিনে চিকন হওয়ার জন্য আপনাকে অনেক পরিশ্রম করতে হবে এবং নিয়ম মেনে আপনার ডায়েট গ্রহণ করতে হবে এবং যে সব বিষয়গুলো এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে সেগুলো এড়িয়ে চললে আপনি সাত দিনে অনেকটা ওজন কমাতে পারবেন এবং অনেক ফ্যাট লুজ করতে পারবেন। বিশেষ করে ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখুন। 

এবং ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মেটাবলিজম এর হার বৃদ্ধি করা এজন্য যেসব নিয়ম বলা হয়েছে সঠিকভাবে পালন করুন যাতে খুব দ্রুত মেটাবলিজম হাড় বৃদ্ধি পায় এবং আপনার ওজন তাড়াতাড়ি কমে। আর এই পোষ্টের ভালো করে বলা হয়েছে যে কিভাবে মেটাবলিজম হওয়ার বৃদ্ধি পায় এবং কমে তো সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে চললে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে পারবেন।



 


পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

আগের পোস্ট পড়ুন পরের পোস্ট পড়ুন
এখনো কেউ কমেন্ট করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন

comment url