হার্ট ভালো রাখার উপায়
হার্ড আমাদের শরীরের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এজন্য আমরা এই ব্লগে সম্পূর্ণ হার্ট ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানব. এবং কি কি খাবার খেলে হার্ট ভালো থাকে. হার্ট ভালো রাখতে কি কি করনীয় এ সম্পর্কে ডিটেলসে আলোচনা করা হবে. আমরা সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়লে হার্টকে সুস্থ এবং ভালো রাখতে পারব তো মনোযোগ দিয়ে বক্তা পড়ুন।
হার্ট ভাল রাখার উপায় ঃ সূচিপত্র
- হার্টের গুরুত্ব এবং হার্ট ভালো রাখার উপায়
- সঠিক খাদ্যভাসে হার্ট ভালো রাখার উপায়
- হাটকে ভালো রাখার উপায় কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন
- হার্ট ভালো রাখার উপায় হিসেবে নিয়মিত ব্যায়াম করুন
- হার্ট ভালো রাখার উপায় মানসিক চাপ কমানো
- হার্ট ভালো রাখতে ধূমপান ও মধ্য পান ত্যাগ করুন
- হার্ট ভালো রাখার উপায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- হার্ট ভাল রাখতে আরো কিছু খাবার
- হার্টের বিভিন্ন রোগের বিবরণ
হার্টের গুরুত্ব এবং হার্ট ভালো রাখার উপায়
হার্ট হচ্ছে মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে দেয় যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকার মূল উপায় তবে বর্তমানে আমরা এমন একটি জীবনধারা অনুসরণ করছি যা আমাদের হার্টের জন্য অনেক ক্ষতিকর তাই আমাদের হার্টের সঠিক যত্ন নিতে হবে এবং আমাদের জীবন ধারাকে পরিবর্তন করতে হবে যাতে আমাদের হার্ড ভালো থাকে এবং আমরা সুস্থ সুন্দর জীবন যাপন করতে পারি।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং কি
যেহেতু হার্ট আমাদের শরীরের প্রধান একটা অঙ্গ এই হার্ট যদি সুস্থ না থাকে তাহলে আমাদের জীবন বৃথা এবং আমরা জীবনে কোন কিছু উপভোগ করতে পারবো না এবং পৃথিবীর সব সৌন্দর্য ভালো বিষয়গুলো আমাদের কাছে বিথা বা মূল্যহীন মনে হবে এজন্য এই হার্টের অপরিসীম এবং হার্টকে সুস্থ রাখতে আমাদের জীবনধারাকে পরিবর্তন করে কিছু কিছু ভালো অভ্যাস তৈরি করতে হবে।সঠিক খাদ্যভাসে হার্ট ভালো রাখার উপায়
আপনার হৃদয়ের সুস্থতা নিশ্চিত করতে কিছু অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে এবং নতুন কিছু উপায় মেনে চলতে হবে হার্ট ভালো রাখার উপায় জানলে আপনিও দীর্ঘকালীন সুস্থতা কর্মক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখতে কিছু নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ পুষ্টিকর খাদ্য অভ্যাস এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আপনার হার্টের সুস্থতা এই প্রথম শর্ত হলো সঠিক খাদ্যা অভ্যাস পুষ্টিকর খাবার হাটের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়ক আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি কিছু বিশেষ ধরনের খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন যা হার্টের জন্য উপকারী।
নিচে কিছু পুষ্টিকর খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা আপনার হার্টকে ভালো রাখবে এবং সুস্থ রাখবে
পুষ্টিকর খাবারের তালিকা সবুজ শাকসবজি সবুজ শাক সবজির মধ্যে বিশেষ করে শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ লবণ এগুলো হার্ড ভালো রাখার উপায় এর অন্যতম অংশ নিয়ম মেনে এই খাবারগুলো রেগুলার আপনার খাদ্য তালিকায় রাখুন এবং আপনার হাটকে সুস্থ রাখুন।
বিভিন্ন ধরনের ফলমূল বিভিন্ন ধরনের ফলমূল রয়েছে যেমন আপেল কলা আঙ্গুর বেরি পেয়ারা এসব ফল আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে পাশাপাশি আপনার হার্টের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ যোগান দেয় যা আপনার হার্টকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড মাছ বিশেষ করেছে এমন ও ম্যারাকেলের মত মাছ এবং কিছু কিছু ধরনের ধরনের সবজি রয়েছে যাতে ওমেগা 3 এসিড প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা আপনার হার্টকে ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।
হাটকে ভালো রাখার উপায় কিছু খাবার এড়িয়ে চলুন
প্রসেস খাবার বিশেষ করে নানা ধরনের প্রসেসিং তৈলাক্ত ধরনের খাবারে রয়েছে যা একজন মানুষের হার্টের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর খাবার এই খাবারগুলো আপনার হাটকে খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ করে ফেলে এজন্য এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে যাতে হার্ট ভালো থাকে।
বেশি লবণ এবং চিনি লবণ ও চিনি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় তাই এইগুলো খাওয়া কমাতে হবে প্রত্যেকদিন একটা মানুষের জন্য সব মিলিয়ে দুই চামচের বেশি লবণ এবং চিনি খাওয়া যাবে না এর বেশি লবণ এবং চিনি খেলে ওই মানুষের দেহে চিনির পরিমাণ বেড়ে গেলে হাটের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।
হার্ট ভালো রাখার উপায় হিসেবে নিয়মিত ব্যায়াম করুন
শারীরিক কার্যকলাপ হার্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনি যদি প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য শারীরিক কার্যকলাপ করে থাকেন এটা আপনার হার্টের সুস্থ রাখতে অনেক গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে এবং যারা নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করে তাদের হার্ট অনেক বেশি ভালো থাকে আর আপনি যদি গায়েব পরিশ্রম না করে থাকেন তাহলে আপনি ব্যায়াম করার মাধ্যমে হাটকে ভালো রাখতে পারেন।
হার্টকে ভালো রাখতে কোন ধরনের ব্যায়াম করবেন
এরোবিক ব্যায়াম এরোবিক ব্যায়াম এর মধ্যে হাটা দৌড়ানো সাইকেল চালানো ইত্যাদি ব্যায়াম রয়েছে যা আপনার শরীরের সমস্ত পেশীগুলোকে সংকোচন প্রসারিত করে যার ফলে আপনার হার্ট অনেক ভালো কাজ করে পাশাপাশি আপনি সাঁতার কাটতেও পারেন এটা অনেক ভালো।
ওজন তোলার ব্যায়াম শরীরের পেশি শক্তিশালী করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এটা হার্টের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে যার ফলে আপনার হার্ট এই প্রেম করার কারণে ধীরে ধীরে মজবুত হতে থাকে এবং আপনার হার্ট অনেক চাপ সহ্য করতে পারে আপনার হার্টের প্রসারতার ফলে।
হার্ট ভালো রাখার উপায় মানসিক চাপ কমানো
মানসিক চাপ এমন এক ধরনের বাজে বিষয় যা আপনার হার্ট নয় পুরো শরীরের নানা ধরনের অসুখ সৃষ্টিতে দায়িত্ব পালন করে থাকে এজন্য বেশি মানসিক চাপের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে ম্যানেজমেন্ট হার্ট ভালো রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়
মানসিক চাপ কমাবেন কিভাবে
মেডিটেশন প্রতিদিন নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন যা আপনার মানসিক চাপ কমাবে মনকে শান্ত রাখবে আপনার শরীরের কার্যক্রমকে সঠিক রাখতে যোগ ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে পাশাপাশি আপনার ব্রেনকে সতেস রাখে এবং সক্রিয় রাখতে সহযোগিতা করে এজন্য দিনে অন্তত ১৫ মিনিট যোগ ব্যায়াম করুন।
হার্ট ভালো রাখার উপায় পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম হৃদয়কে সুস্থ রাখতে সহায়ক ঘুমের অভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় পাশাপাশি নানান রোগের সংক্রমণ ঘটে এজন্য প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম নিশ্চিত করুন এবং আপনার হার্টকে সুস্থ রাখুন জীবনকে উৎফুল্ল ভাবে জীবন যাপন করুন।
হার্ট ভালো রাখতে ধূমপান ও মধ্য পান ত্যাগ করুন
ধূমপান এবং মধ্যপানের কারণে লিভার ফুসফুসের পাশাপাশি শরীরে নানান রোগ তো হয়ই এবং এটা হার্টের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর যা আপনার হার্টকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায় তাই এগুলো ত্যাগ করা অত্যন্ত জরুরি ধূমপানে থাকার নিকোটিন রক্তচাপ বাড়ায় এবং রক্তনালী গুলোকে সংকুচিত করে এবং এটা হার্ট ব্লকের কারণে হতে পারে।
হার্ট ভালো রাখার উপায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে আপনার হার্টের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং প্রয়োজনে পদক্ষেপ নিয়ে হাটকে সুস্থ রাখতে পারবেন এজন্য মাঝে মধ্যে হার্টের পরীক্ষা করতে পারেন।
কোন ধরনের পরীক্ষা করবে
রক্তচাপ পরীক্ষা উচ্চ রক্তচাপ হৃদ রোগের একটি প্রধান কারণ তাই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা প্রয়োজন আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ আছে নাকি উচ্চ রক্তচাপ হয়েছে আপনি তা নিশ্চিত করুন এবং রক্তচাপ বেড়ে গেলে নিয়ন্ত্রণের রাখুন যা আপনার হার্টকে অনেক ভালো রাখবে।
কোলেস্টেরল পরীক্ষা বিভিন্ন ধরনের তৈলাক্ত জাতীয় খাবার এবং প্রসেসিং ফুড খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হারে বাড়তে থাকে যার কারণে আপনার হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এজন্য নিয়মিত কোলেস্টেরল টেস্ট করতে পারেন
হার্ট ভালো রাখতে সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায়
আপনার হার্ট কে ভালো রাখতে আপনার মনকে সব সময় ফুরফুরা রাখতে হবে এজন্য পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের মানসিক প্রশান্তি আমাদের বা আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে এজন্য সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন কারো সাথে বাজে আচরণ করবেন না এবং কারো সাথে বেশি রাগারাগি করবেন না।
হার্ট ভালো রাখার উপায় হিসেবে নিয়মিত পানি পান করুন
পানি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা উপাদান সঠিক পরিমাণে পানি না খেলে আমরা ডিভাইট্রেশনের কারণে শরীরকে অসুস্থ করে ফেলি যা আমাদের ব্রেন থেকে শুরু করে শরীরের প্রতিটা কোষের সেলসের জন্য অনেক ক্ষতি করে একটা বিষয় এবং নিয়মিত পানি পান না করলে আমাদের হার্টেরও ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে এজন্য পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
হার্ট ভালো রাখতে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত ওজনের কারণে ডায়াবেটিস উচ্চ রক্তচাপ হার্টের সমস্যা শরীরের নানা অঙ্গের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে অতিরিক্ত ওজনের কারণে হাটের উপরে অনেক চাপ পড়ে তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ না করা বা অতিরিক্ত ক্যালরিযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকা এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং শাকসবজি এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
হার্ড ভালো রাখতে ভ্রমণ করুন
আপনার মানসিক দুশ্চিন্তা এবং মনকে উৎফুল্ল রাখতে মাঝেমধ্যে আপনি আপনার দর্শনীয় জায়গা গুলোতে ভ্রমণ করে আসতে পারেন যা আপনার মনকেও প্রশান্তি দান করবে পাশাপাশি আপনার শরীরটাও অনেক ভালো লাগবে এজন্য আপনি আপনার কোন বন্ধু বা প্রিয়জনের সাথে আপনার এলাকার অথবা বাহিরের কোন দর্শনীয় স্থানে যেতে পারেন যা আপনার হার্টের জন্য অনেক ভালো একটা পদক্ষেপ হতে পারে।
হার্ট ভাল রাখতে আরো কিছু খাবার
হার্টের সুস্থতায় ফাইবারযুক্ত খাবার ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন ওটস ব্রাউন রাইস সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ফাইবার শরীরের চর্বি শোষণ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে পাশাপাশি ফাইবার প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার কারণে আপনার শরীরের কোলেস্টেরল কমতে শুরু করে এজন্য প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যুক্ত খাবার খান এটি হৃদরোগের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এন্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ খাবার যেমন ভেরি গ্রিন টি কাকা অর্ডার চকলেট হার্টের জন্য কিন্তু উপকারী এগুলো শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেলস কমিয়ে দেয় এবং রক্ত সরঞ্জালান কে ঠিক রাখে যা আপনার হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এজন্য প্রচুর পরিমাণে এন্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খান
হাইড্রোজেনেটেড তেল এড়িয়ে চলা হাইড্রোজেনের তেল বলতে যেমন ডালডা বা প্রক্রিয়া তেল সয়াবিন তেল হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকারক কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি রয়েছে খুব তাড়াতাড়ি এই ধরনের তেল এড়িয়ে চলা হার্ট ভালো রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত কফি এড়িয়ে চলা কফিতে থাকা ক্যাফেইন রক্তচাপ বাড়ায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এজন্য দিনে এক থেকে দুই কাপের বেশিই কফি পান এড়িয়ে চলুন তাহলে আপনার হার্ট অনিকাংশে ভালো থাকবে।
ডার্ক চকলেট খাওয়া ডার্ক চকলেটে স্যাভয়েড নামে একটি উপাদান থাকে যার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াকে ভালো রাখে তবে অতিরিক্ত পরিমাণে না খেয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডাকছে প্লেট খাওয়া উচিত।
ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াম্যাগনেসিয়াম শরীরের পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় এজন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার রাখুন যেমন তেমন পালংশাক বাদাম বীজ এবং সবুজশাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
আঙ্গুরের রস খাওয়া আঙ্গুরের রসে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালী সুস্থ রাখে এবং হার্টের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখে
প্রবায়োটিকস খাবার গ্রহণ প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যেমন দই এসির ইত্যাদির যন্ত্রের জন্য উপকারী এই ধরনের খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিকস রয়েছে যা শরীরের প্রবাহ কমায় এবং হৃদযন্তকে সুস্থ রাখে।
হার্টের বিভিন্ন রোগের বিবরণ
করনারী আর্টারি ডিজিজ করোনারি আর্টারি ডিজিজ এ হৃদপিন্ডের শিরা বা ধমনীর সংকীর্ণ হয়ে যায় যা রক্ত প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে এই রোগটির হৃদপিন্ডের প্রধান একটা বড় রোগ. শিরা সংকীর্ণ হলে হৃদপিণ্ড অক্সিজেনের অভাব হতে পারে এবং এজন্য এনজাইনা বুকের ব্যথা এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে।
হার্ট ফেইলর হার্ট ফেইলোর বলতে হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়াকে বোঝায় যখন হৃদপিন্ডের ক্ষমতা কমে গিয়ে শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রসারণ বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা হয় তখন এটা হার্টফেলর বলে এটি তখন ঘটে যখন হৃদপিণ্ড পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পান প্রত্যেক সক্ষম হয় না হলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় যার ফলে ক্লান্তির শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হার্টের ভাল্বের রোগ ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তের সঠিক প্রভাবে বাধা পড়ে এবং শরীরের সঠিক পরিমাণ রক্ত সঞ্চালন হয় না এই ধরনের সমস্যা হার্টের কার্যক্রমের বাধা দেয় এবং ফেইলর এর ঝুঁকি বাড়ায়।
আর্থমিয়া এটি হৃদপিন্ডের স্বাভাবিক ক্ষারের চেয়ে দ্রুত বা দীর্ঘস্পন্দনকে বোঝায় এটি মূলত হৃদপিন্ডের ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের সমস্যা সৃষ্টি করে যার ফলে পেল পিটিশন বা মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
হার্টের রোগীর ভয়াবহতা
হার্ট এটাকের পরিণতি হার্ট এটাকের ফলে হৃৎপিণ্ডের একটি অংশ অক্সিজেন অভাবে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কর্ম ক্ষমতা কমে দেয় এবং মৃত্যুর ঝুঁকি তৈরি করে এছাড়া সঠিক সময় চিকিৎসা না পেলে হার্টের হার ফেইলর এবং অন্যান্য চটির লতার কারণে মানুষের প্রাণ যেতে পারে।
লং টার্ম কমপ্লিকেশন অনেকে হৃদরোগের চিকিৎসা সঠিকভাবে না হলে বা সময় মত না পেলে দীর্ঘমেয়াদি জটিলতা সৃষ্টি হয় যেমন হার্টফেলর স্ট্রোক বা হঠাৎ কার্ডিয়া অ্যারেস্ট রোগের জীবনকে দীর্ঘস্থায় ভাবে পরিবর্তন করে দিতে পারে এবং রোগীর বড় ধরনের ক্ষতিগ্রস্তর শিকার হতে পারে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি যা রোগীর আর্থিক এবং মানসিক পরিস্থিতির বিপন্ন করতে পারে
শেষ কথা
হার্ট আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এজন্য আমাদের সবার উচিত যাতে আমাদের হাট কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেসব কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা এবং হার্ট যাতে ভালো থাকে সেসব ভালো অভ্যাস ভালো খাবার দাবার ঠিকমতো খাওয়া।
এবং এই ব্লক থেকে আপনি যেই বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন আপনার লাইফে এই বিষয়গুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন এবং গুরুতর সমস্যার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন এবং চিকিৎসকের পরামর্শের উপর নির্ভর করে আপনার হার্ট ভালো রাখার জন্য নিয়ম কারণ মেনে চললে আপনি অবশ্যই ভালো থাকবেন।
এখানে কমেন্ট করুন
comment url