লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম

লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আপনারা যারা খাটো রয়েছেন, যাদের হাইট কম, আপনাদের হাইট বাড়ানোর জন্য অনেক চিন্তা করছেন।  তারা এই পোস্টটি সম্পূর্ণ  পড়লে  আপনারা অবশ্যই উপকৃত হতে পারবেন। 

লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম

অনেকেই রয়েছে হাইটে খুবই খাটো।  যাদেরকে অনেক মানুষ পছন্দ করে না এবং তাদের হাইটে খাটো হওয়ার কারণে তারা নিজেদের নিয়ে নানা দুশ্চিন্তায় ভোগে।  কারণ তারা যেখানে সেখানে ঘোরাফেরা করতে গিয়ে নিজেকে ছোট মনে করে এবং তাদের মানসিক একটা অশান্তি সৃষ্টি হয়। যার কারণে অনেককে হাইট বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের উপায় খুঁজে থাকে। তো আপনি এই পোস্টটি ভাল করে পড়ার চেষ্টা করুন অবশ্যই একটা উপায় পেয়ে যাবেন। 

পোস্ট সূচিপত্র 

লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম 

লম্বা মানুষ দেখতে অনেক সুদর্শন এবং আকর্ষণীয় লাগে।  দেখতে হ্যান্ডসাম মনে হয়। এজন্য যারা হাইটে শট তারা অনেকেই চায় যে কিভাবে লম্বা হতে পারা যায়। আমি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।   আমি নিজেই এক সময় খাটো ছিলাম এবং দুই থেকে তিন বছর ব্যায়ামের পাশাপাশি সুষম খাদ্যাভ্যাসের ফলে আমার হাইট প্রায় তিন থেকে চার ইঞ্চির মতো বৃদ্ধি পেয়েছিল। এজন্য লম্বা হওয়ার জন্য সঠিক ব্যায়াম এবং খাদ্যাভ্যাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। 

আপনি যদি লম্বা হতে চান এবং সুদর্শন চেহারার অধিকারী হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই দীর্ঘদিন ধরে ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্যের অভ্যাস গঠন করতে হবে।  সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম পারে আপনাকে লম্বা করতে এবং এগুলো আপনার শারীরিক কোন ক্ষতির কারণ হবে না এবং আপনি আপনার হাইট প্রাকৃতিক এবং কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই বাড়াতে সক্ষম হবেন। 

লম্বা হওয়ার উপায় ও ব্যায়াম

কারন আপনাকে হয়তোবা অনেকেই বলবে যে আপনি যেকোনো ধরনের ওষুধ খেয়ে লম্বা হতে পারবেন। কিন্তু ওইগুলো ওষুধ খেয়ে আপনার বেশিরভাগ টাকায় খরচ হবে। কিন্তু আপনার কোন উন্নতি হবে ... এজন্য আপনার বয়স যদি ২৫ এর ভিতর হয়ে থাকে। তাহলে আপনি একটু ভালো স্বাস্থ্যকর খাবার পাশাপাশি কিছু ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো অনুশীলন করলে হয়তোবা আপনি এক থেকে দেড় ইঞ্চি লম্বা হতে পারেন। তাছাড়া বিকল্প কোন উপায় নেই আর যদি বয়স টিনেজের মধ্যে থাকে তাহলে আপনি ব্যায়াম করলে অনেক ভালো ফলাফল দেখতে পাবেন।

মানুষের উচ্চতা নির্ভর করে বেশিরভাগ জন্মগত জেনেটিক এবং প্রাকৃতিক এবং তার টিনেজে কি ধরনের খাদ্যাভ্যাস ছিল তার ওপরে নির্ভর করে মানুষ কতটা লম্বা হয় এবং কতটা খাটো হয়। একটা বাচ্চাকে ছোট থেকে ২০ বছর পর্যন্ত যদি সঠিক সুষম খাবার দেয়া হয়।  তাহলে সেই বাচ্চাটির অনেক বাচ্চা থেকে লম্বা হয়ে থাকে। আবার অনেকে বংশগতভাবেই অনেক লম্বা হয়ে থাকে। এজন্য আপনার ২৫ থেকে ২৭ এর মধ্যে যদি বয়স হয়ে থাকে।  তাহলে আপনি লম্বা হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে পারেন নতুবা সম্ভব নয়।

লম্বা হওয়ার জন্য ব্যায়াম 

লম্বা হওয়ার জন্য ব্যায়াম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  আপনি যদি ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে হয়ে থাকেন। তাহলে  নিয়মিত সুষম খাদ্যাভ্যাসের পাশাপাশি সঠিকভাবে ব্যায়াম অনুশীলন করতে পারেন তাহলে আপনার হাইট অবশ্যই অনেক ভালো হবে।  আপনার বডির গঠনটাও অনেক ভালো হবে যদি আপনি বিশের মধ্যে বয়সে লম্বা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করে থাকেন এবং পাশাপাশি সঠিকভাবে খাদ্য অনুশীলন করে থাকেন। 

লম্বা হওয়ার জন্য কার্যকরী কিছু ব্যায়াম 

দৌড়ানো  দৌড়াদৌড়ি করা বা খেলাধুলা করা লম্বা হওয়ার জন্য খুবই কার্যকরী উপায়। কারণ আপনি যখন দৌড়াদৌড়ি করে থাকেন আপনার সমস্ত শরীর এর মাংসপেশি সংকোচন প্রসারিত হয়ে থাকে যার ফলে আপনার শরীরের হাড় এবং মাসেল বৃদ্ধি পায় এবং আপনি লম্বা হয়ে থাকেন। এজন্য বাচ্চাদের নিয়মিত খেলাধুলা অনুশীলন করা উচিত। লম্বা হওয়ার জন্য দৌড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

      আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালের সেরা ফ্রীলান্সিং স্কিল 

সাঁতার    সাঁতার কাটলে আপনার শরীরের সমস্ত মাংসপেশি সংকোচন প্রসারণ হয়ে থাকে এবং শরীরের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়।  পাশাপাশি আপনার পেশী এবং হাড় গঠনে সহায়তা করে থাকে। এজন্য নিয়মিত সাঁতার কাটলে আপনি লম্বা হতে পারবেন। 

পুল আপ    পুলাপ হচ্ছে একটিবার ধরে ঝুলন এবং আপনার শরীরকে উপরে টেনে তুলুন। এভাবে আপনার শরীরকে বারবার উপরে উঠান এবং নিচে নামান। পাশাপাশি আপনার শরীরকে হাতের উপরে ভর করে সম্পূর্ণ শরীরকে রিলাক্সে ছেড়ে দিয়ে ঝুলে থাকুন এভাবে করলে আপনার শরীরের সমস্ত জয়েন্ট গুলো লুজ হয়ে যায় এবং লম্বা হওয়ার জন্য হাড় বৃদ্ধি পায় ।

কোবরা স্ট্রেস  কোবরা স্টেজ করতে আপনাকে মাটিতে শুয়ে পড়তে হবে এবং হাতের সাহায্যে শরীরকে উপরে তোলার চেষ্টা করুন এই অবস্থায় কিছু সেকেন্ড রাখুন এভাবে করলে এটি আপনার মেরুদন্ডের নমনীয়তা বাড়ায় এবং হার গঠনে সহায়তা করে যা আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি করবে ।

টান  এটা আপনি গাছের কোন চিকন ডাল ধরে করতে পারেন অথবা কোন বাড়ে কেউ করতে পারেন। এটা করার জন্য একটি গাছের ডাল অথবা উপরে আছে এমন একটা বাড়ে সোজা হয়ে ধরে ঝুলে থাকুন এবং পা যেন মাটির কাছাকাছি না হয় এভাবে কয়েক মিনিট থাকার চেষ্টা করুন এটি মেরুদন্ডকে প্রসারিত করে এবং পিসিকে শক্তিশালী করে যা আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

যোগব্যায়াম  উচ্চতা বাড়ানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি আপনার শরীরের বিভিন্ন মাংসপেশি এবং হাড়ের উপর ফোকাস দেয় এবং আপনার হার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

পা টান এটা করতে আপনাকে প্রথমে মাটিতে বসতে হবে। বসার পর পা দুটো সামনের দিকে সোজা  করে রাখতে হবে এবং পায়ের পাতাকে হাত দিয়ে কাছের দিকে টানার চেষ্টা করুন এভাবে কয়েক মিনিট করুন। 

এই কয়েকটি ব্যায়াম আপনার উচ্চতা বাড়াতে খুবই কার্যকরী। এ ধরনের ব্যায়াম উচ্চতা বাড়ানোর জন্য পরীক্ষিত। এজন্য এই কয়েকটি ব্যায়াম নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনি আপনার উচ্চতা বাড়াতে পারবেন।

উচ্চতা বাড়ার খাবার সমূহ 

১. ডিম

 ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং বিভিন্ন মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট থাকে।

কেন কার্যকর: প্রোটিন পেশী এবং হাড়ের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য, এবং ভিটামিন ডি ক্যালশিয়ামের শোষণে সাহায্য করে।

২. দুধ এবং দুধের পণ্য

দুধ, দই, পনির ইত্যাদিতে ক্যালশিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন বি১২ থাকে।

কেন কার্যকর: ক্যালশিয়াম হাড়ের বৃদ্ধিতে সহায়ক এবং দুধের প্রোটিন উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৩. সবুজ শাকসবজি

পালং শাক, ব্রোকলি, পালং শাক।

 ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ উপাদান।

কেন কার্যকর: শাকসবজি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ সরবরাহ করে যা বৃদ্ধি প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।

৪. মাছ

 স্যালমন, টুনা, মাকারেল।

উচ্চ মানের প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন ডি।

কেন কার্যকর: এই উপাদানগুলো শরীরের বৃদ্ধির জন্য উপকারী এবং হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে।

৫. বাদাম ও তেলSeeds

বাদাম, আখরোট, সূর্যমুখী তেলSeeds।

 স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন এবং মিনারেল।

কেন কার্যকর: শরীরের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে।

৬. গরুর মাংস এবং মুরগির মাংস

 উচ্চ মানের প্রোটিন, জিঙ্ক এবং আইরন।

কেন কার্যকর: প্রোটিন পেশী বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য এবং জিঙ্ক ও আইরন শারীরিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক।

৭. ফল

কলা, পেঁপে, আঙুর, আপেল।

ভিটামিন সি, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

কেন কার্যকর: ফল শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল সরবরাহ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৮. শস্যদানা

ওটস, ব্রাউন রাইস, কোয়ার্ন।

 কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং ভিটামিন বি।

কেন কার্যকর: শস্যদানা শরীরকে শক্তি দেয় এবং স্বাস্থ্যকর পুষ্টি নিশ্চিত করে।

৯. সয়া এবং সয়া পণ্য

সয়া দুধ, টোফু।

 প্রোটিন এবং অন্যান্য জরুরী নিউট্রিয়েন্ট।

কেন কার্যকর: সয়া উচ্চ মানের প্রোটিন সরবরাহ করে যা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক।

১০. জিঙ্ক এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

গরুর মাংস, মুরগির মাংস, শামুক, বিভিন্ন শাকসবজি।

কেন কার্যকর: জিঙ্ক এবং আয়রন শরীরের বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন 

সুষম খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিমিত সুষম খাদ্য গ্রহণে আমাদের শারীরিক গঠন সুন্দর ও সুটাম হয়ে থাকে। এজন্য পরিমিত সুষম খাদ্যের ব্যবস্থা করা এবং নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করা এবং উপরে লম্বা হওয়ার জন্য যেসব খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় সেসব খাদ্য রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত এইসব খাদ্য গ্রহণের ফলে আপনি আপনার উচ্চতা বাড়াতে সক্ষম হবেন। 

এবং যেসব বাজে ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং অসুস্থকর অভ্যাস রয়েছে সেগুলো আপনাকে পরিত্যাগ করতে হবে। কারণ বাজে খাবার দাবার আপনার স্বাস্থ্য এবং উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। এজন্য অস্বাস্থ্যকর খাবার অবশ্যই খাওয়া যাবেনা এবং কোন বাজে ধরনের অভ্যাস যেগুলো শরীরের জন্য ক্ষতিকর সেগুলো থাকলে পরিত্যাগ করতে হবে। 

অতিরিক্ত চা কফি আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে থাকে এজন্য আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে চা বা কফি খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার চা কফি খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে কারণ চা-কবিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা উচ্চতা বৃদ্ধি বাধা সৃষ্টি করে।

মানসিক স্বাস্থ্য 

আপনাকে সর্বদা ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে। কারণ আমাদের মন আমাদের ব্রেন কে দিয়ে নানা ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করিয়ে থাকে।  এজন্য আপনার মনে যদি ইতিবাচক চিন্তা থাকে এবং আত্মবিশ্বাসী মনোভাব থাকে তাহলে আপনার উচ্চতা বাড়তে আপনার ব্রেনের সিগনাল যাবে। পাশাপাশি আপনার সেই ধরনের হরমোন তৈরি হবে। যা আপনার ব্রেনে এবং আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক এই ধরনের হরমোন। 

এজন্য শারীরিক ব্যায়ামের পাশাপাশি আপনাকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। এবং আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন পরিবারের সদস্যদের সাথে সবার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। যাতে আপনার মন সর্বদা উৎফুল্ল এবং ফ্রেশ থাকে।  আপনি সব কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন। তাহলে আপনি যে ধরনের পুষ্টিকর সুষম ডায়েট গ্রহণ করবেন আপনার ব্রেন তা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকবে। 

লম্বা হওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ 

অনেকেই খাটো হয়ে থাকে তার হরমোনের সমস্যার কারণে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।  কারণ আপনার যদি হাইট কম হওয়ার কারণ সেই হরমোন দায়ী হয়ে থাকে। তাহলে আপনি ডাক্তারি পরামর্শ ছাড়া হাইড বৃদ্ধি করতে  পারবেন না। এজন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে দেখুন এবং হরমোন টেস্ট করে দেখুন যে আপনার হরমোনের কোন সমস্যা আছে নাকি। যদি না থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত এই ব্যায়ামগুলো এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। আর যদি সমস্যা থাকে তাহলে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

লম্বা হওয়ার ওষুধ 

লম্বা হওয়ার জন্য নানা কোম্পানি নানা ধরনের মেডিসিন তৈরি করে থাকে । এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট দেখা যায়। তবে এর মধ্যে দুই একটা ব্যতীত কোন ওষুধ বা প্রোডাক্টটি কাজ করে না।  এবং কারো হাইড বাড়াতে পারে না। তবে কিছু ভালো ওষুধ রয়েছে যা আপনার লম্বা হতে সহায়তা করতে পারে। তবে ডাইরেক্ট আপনি যে লম্বা হবেন এরকম কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। 

আপনি লম্বা হওয়ার জন্য ভালো  কোন হোমিও ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।  এবং কয়েক মাস ওষুধ সেবন করলে আপনি লম্বা হতে পারবেন। এই ধরনের ওষুধে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না। যেমন; আমরা এলোপতিতে কোন ওষুধ সেবন করলে সেটার প্রচুর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে।  কিন্তু আমরা হোমিওপ্যাথিতে কোন অসুখের চিকিৎসা করলে আমাদের শরীরে তেমন একটা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না।  এজন্য আপনি চাইলে ভালো কোন হোমিও ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। 

আমার শেষ কথা 

আপনার বয়স যদি ১৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে হয়ে থাকে।  তাহলে আপনি উপরের ব্যায়ামগুলো করার পাশাপাশি যদি সঠিকভাবে সুষম খাদ্য গ্রহণ করে থাকেন,  যেসব প্রোটিন এবং পুষ্টি  সমৃদ্ধ খাদ্য সম্পর্কে উপরে আলোচনা করা হয়েছে।  তাহলে আপনি আপনার হাইট দুই থেকে তিন ইঞ্চি বৃদ্ধি করতে পারবেন। আর যদি আপনার বয়স ২৫ এর উর্ধ্বে হয় তাহলে আপনার হাইট বাড়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কম থাকে।  তবে ব্যায়াম করে দেখতে পারেন এক দেড় ইঞ্চি বৃদ্ধি পেলেও পেতে পারে। 

আমি ব্যক্তিগতভাবেই দুই তিন বছর ব্যায়াম করে আমার হাইট ২ থেকে ৪ ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে।  এজন্য সঠিক নিয়মে আপনার এই ব্যায়ামগুলো করে সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং বাজে অভ্যাস এবং বাজে খাবার-দাবার থেকে বিরত থাকলে আপনার হাইট অবশ্যই বাড়বে।




পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

আগের পোস্ট পড়ুন পরের পোস্ট পড়ুন
এখনো কেউ কমেন্ট করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন

comment url