এসইও কি এবংকিভাবে করতে হয় সম্পূর্ণ গাইড

এসও কি এবং কিভাবে এসইও করতে হয়। আপনারা এই ব্লগের সম্পূর্ণ গাইড পেয়ে যাবেন। একদম শুরু থেকে এডভান্স লেভেল পর্যন্ত  এসইওর  সম্পূর্ণ কিছু দেখানো হবে।  আসলে এসইও কিভাবে কাজ করে।  আপনারা একদম সম্পূর্ণ কিছু বিস্তারিত জানতে পারবেন এই  পোস্টটিতে।  এসইওর গুরুত্ব কেমন এবং বর্তমানে  আপনার মনে যত ধরনের কিছু বিষয় প্রশ্ন আছে সব একদম ক্লিয়ার হয়ে যাবে। 
এসইও কি এবংকিভাবে করতে হয় সম্পূর্ণ গাইড
এসইও বর্তমানে একটা খুব চাহিদা সম্পন্ন  স্কিল । আপনি এই স্কিলটা অর্জন করলে ঘরে বসে থেকেই খুব সহজেই অনেক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং করতে পারবেন। এবং ফ্রিল্যান্সিং করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবেন। এবং এসইওর চাহিদা ভবিষ্যতেও দিন দিন বাড়বে বলে আশা করা যায়। কারণ সকল ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূলে হচ্ছে এসইও।

পোস্ট সুচিপত্রঃ এসইও কি এবংকিভাবে করতে হয় সম্পূর্ণ গাইড

 এসইও কি

 এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।  এসইওর কাজ মূলত কোন কনটেন্টকে  গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজে রেংক করা।  কোন ওয়েবসাইটের কনটেন্টকে রেংক করার জন্য  এসইও করা হয়ে থাকে।  যাতে সেটা গুগল সার্চ রেজাল্ট  পেজে প্রথম দিকে থাকে।  এবং কেউ সার্চ ইঞ্জিনে এই  কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলে যাতে তার কাছে গুগল এই কন্টেন্ট টা দেখায় এবং এভাবেই একটা ওয়েবসাইটে ভিউ হয়ে থাকে। আর এই রেংক করার মাধ্যমই এসইও।
 
আমরা তো দৈন্যদিন গুগলে কোন কিছু জানার জন্য অথবা কোন কিছু খোঁজার জন্য সার্চ করে থাকি। আর গুগল আমাদের ওই একই রকম বিষয় বা আমরা যা লিখে সার্চ করে থাকি ওই ধরনের কনটেন্ট আমাদের কাছে উপস্থাপন করে।  আর এই প্রচেষ্টাই হচ্ছে  এসইওর মাধ্যমে গুগল কোন কন্টেন্টকে রেংকিং এ প্রথম দিকে রেখে তা আমাদের কাছে দেখায়।  এটাকে আমরা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংও বলতে পারি। কারণ কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের কোন প্রোডাক্ট এভাবেই  এসইও মাধ্যমে ব্যাংকিং এ প্রথম দিকে নিয়ে আসা হয়।  যার ওয়েবসাইট রেংকিং এ প্রথম দিকে থাকে তার ওয়েবসাইটে সেল অনেক বেশি হয়ে থাকে। 

এসইও কত প্রকার

এসেও কাজের গঠন অনুযায়ী তিন প্রকার
  1. অন-পেজ এসইও
  2. অফ-পেজ এসইও
  3. টেকনিক্যাল এসইও
  এসিও কাজের প্রক্রিয়া অনুযায়ী
  1.  হোয়াইট হ্যাট
  2.  ব্ল্যাকহ্যাট 
  3. গ্রে হ্যাট

এসইও কিভাবে করতে হয়

 এসইও মূলত অন পেজ থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল, এসইওর মধ্যেই সম্পূর্ণ এসইওর সবকিছু কার্যক্রম করা হয়ে থাকে।  একটা ওয়েবসাইটের এসইওর শুরুর প্রথম স্টেপ হচ্ছে অন পেজ এসইও। অন পেজ এসইও দিয়ে ওয়েবসাইটে এসইও করা শুরু হয়। এবং পাশাপাশি অফ পেজ এবং টেকনিক্যাল এর মধ্যে সম্পূর্ণ এসইওর প্রসেসিং করে একটা ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে রেংক কে প্রথম দিকে নিয়ে আসা হয়।  

 তো এই পোস্টে বিস্তারিত সকল বিষয়ে আলোচনা করা হবে পোস্টটি সম্পন্ন পড়লে আপনি ও খুব সহজেই একটা কন্টেন্টের এসইও করতে পারবেন। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে এই পোস্টটি পড়েন এবং তদ অনুযায়ী প্র্যাকটিস করেন, অবশ্যই সুন্দরভাবে এসইও সম্পন্ন করতে পারবেন। এবং সার্চ ইঞ্জিন পেজে আপনার পোস্ট রেংকিং এ প্রথম দিকে থাকবে। এজন্য নিচের স্টেপগুলো ফলো করুন।

অন পেজ এসইও করার পদ্ধতি 

 কিভাবে অন পেজ এসইও করতে হয় ?এখানে এই বিষয়টা নিয়ে একদম সম্পূর্ণ আলোচনা করা হলোঃ

 কিওয়ার্ড রিসার্চ

অফপেজ এসইওর সর্বপ্রথম এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা।  এসইও করার প্রথমেই আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।  যত ভালোভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ হবে ।তত সুন্দর করে অফপেজ এসইও সম্পন্ন করা যাবে।  এজন্য কোন বিষয় নিয়ে আপনার কনটেন্টি আছে সেই বিষয়ে উপরে গুগলে, ইউটিউব এ সার্চ দিয়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আপনার যাত্রা শুরু করুন।

 টাইটেল
 কিওয়ার্ড রিসার্চ করার প্‌র,  আপনি যে কিওয়ার্ড নিয়ে অফপেজ এসইও করতে চান।  সর্বপ্রথম আপনার কনটেন্ট এ ওই কিওয়ার্ড টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।  এবং চেষ্টা করবেন কিওয়ার্ড টি যেন ৫ থেকে ৮ শব্দের হয় তাহলে এই টাইটেলটি পোস্টের সম্পূর্ণ দেখা যায়।

 মেটা ডেসক্রিপশন
 আপনি কিওয়ার্ড রিচার্জ করে যে কিওয়ার্ড টি নিয়ে কাজ করতে চান। সেই কিওয়ারটি হল আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড আর এই ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে আপনার কন্টেন্টের সঠিকভাবে অনেক জায়গায় ব্যবহার করতে হবে।  টাইটেলের পরে ভূমিকার শুরুর দিকে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড দিতে হবে। এটাই গুগলে মেটাল ডেসক্রিপশন হিসেবে দেখায়।  টাইটেলের সাথে তিন চার লাইনের মধ্যে যেটা লেখা হয় সেটাই মেটা ডেসক্রিপশন। টাইটেল এর পরে আপনার প্রথম বাক্যটি হবে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে।

হেডিং
 আপনার কনটেন্ট এসইও করার জন্য কনটেন্টে মিনিমাম 5 থেকে 10 টি হেডিং ব্যবহার করতে হবে। এবং প্রত্যেকটি হেডিং এ ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে হেডিং লিখতে হবে।  এবং বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হেডিং এ রাখতে পারেন এবং এরপরে কম গুরুত্ব বিষয় গুলো সাব হেডিং এভাবে আপনার কন্টেনটি সাজিয়ে নিতে পারেন।  অবশ্যই হেডিংটা ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে লিখবেন। 

 কন্টেন্টের আকার 
 কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য মিনিমাম ৬০০ শব্দের বেশি থাকতে হবে।  এবং কনটেন্টে চার থেকে পাঁচ লাইনের ছোট ছোট প্যারা প্যারা করে সম্পূর্ণ কনটেন্ট লিখতে হবে। একটা কনটেন্টে  আপনি অনেকগুলো প্যারা ব্যবহার করে সুন্দর করে লিখতে পারেন।  আর প্রতিটা হেডিং এ সর্বনিম্ন দুইটা করে প্যারা দিয়ে লিখতে হবে। 

কনটেন্ট এর ইমেজ
 কনটেন্টের যদি ইমেজ থাকে তাহলে ইমেজটা ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে এসইও  করে নিতে হবে।   প্রতিটা কনটেন্ট লিখার সাথে আপনাকে অবশ্যই দুই তিনটা ফিচার ইমেজ দিতে হবে।  কিওয়ার্ডের সাথে মিল রেখে ইমেজ তৈরি করে তারপরে কনটেন্ট ইমেজ দিতে হবে।  এবংএসইও  করার জন্য কন্টেন্টের alt এবং title ফোকাস কিওয়ার্ড টা দিতে হবে।  

 কনটেন্ট linking 
কনটেন্ট এসইওতে ভালো পারফর্ম করার জন্য অবশ্যই ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল লিংকিং করতে হবে।  ইন্টার্নাল লিংক মানে আপনার ওয়েবসাইটের এক পোষ্টের লিঙ্ক আর এক পোস্টে দিতে হবে।  এবং একটা পোস্টে মিনিমাম তিন চারটা ইন্টার্নাল লিংক দিতে হবে।  পাশাপাশি আপনি অন্য কোনো ভালো ওয়েবসাইটের লিংক আপনার কনটেন্ট রাখতে পারেন তাহলে আরেকটু ভালো পারফরম্যান্স করবে।   যেটাকে এক্সটার্নাল লিংকিং বলা হয়ে থাকে।

সূচিপত্র
 কনটেন্ট যদি লিখিত বা রাইটিং হয়ে থাকে তাহলে আপনি কন্টেন্টে অবশ্যই সূচিপত্র তৈরি করবেন।  যেটা আপনার পাঠককে সহজেই বুঝতে সাহায্য করে যে আপনার কন্ঠে কি কি মেন পয়েন্ট রয়েছে এবং তার প্রয়োজন অনুযায়ী সে সেই পয়েন্টে সরাসরি যেতে পারবে।  এবং কনটেন্টার দেখতেও আকর্ষণীয় লাগবে।

ইউ আর এল এবং পারমালিংক
আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করে যেই কিওয়ার্ডের ওপর এসইও করতে চান। সেই কিওয়ার্ড টা বা আপনি টাইটেলটিতে যে কিওয়ার্ড দিয়ে লিখেছেন সেই কিওয়ার্ড দিয়ে পারমালিনক এবং আপনার ইউআরএল টা একটু ছোট করে সেটআপ করে নিতে হবে। এবং পারমালিংক কোন নাম্বার সাল রাখা যাবে না।  

 এই বিষয়গুলো মেনে আপনি একটা ওয়েবসাইটের অন পেজ এসইও খুব সহজেই করতে পারবেন এবং দ্রুত গুগলের রেংক করাতে সক্ষম হবেন বলে আশা করা যায়।

অফ পেজ এসইও কিভাবে করতে হয়

 অফ পেজ এসইও এমন একটা কৌশল যা আপনার ওয়েবসাইটের বাইরের সম্পন্ন করা হয়ে থাকে এবং আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার জন্য এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।   এখন অফ পেজ এসইও নিয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।  যা আপনি খুব সহজেই এপ্লাই করতে পারবেন।

 লিংক বিল্ডিং
লিংক বিল্ডিং এসইওর একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটা ঠিকঠাক মতো করা হলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা খুব তাড়াতাড়ি বাড়তে শুরু করবে। আর লিংক বিল্ডিং  এর কয়েকটি কৌশল এখানে দেওয়া হলো   
 গেস্ট পোস্টিং
 উচ্চ এবং উন্নত মানের  ফেমাস ওয়েবসাইটে আপনার গেস্ট পোস্ট জমা দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাংক লিঙ্ক তৈরি করুন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক অনেক বেড়ে যাবে। 
 ব্রকেন লি
ওয়েবসাইটে থাকা ব্রকেন লিংকগুলো খুঁজে সেই গুলোর সাথে সম্পর্কিত আপনার কনটেন্টের লিংক করুন।  ব্রকেন লিংকে  আপনার কনটেন্ট আপডেট করুন।
 স্কাই স্যাপার টেকনিক
 প্রতিযোগিতার কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে আরো ভালো কনটেন্ট তৈরি করা এবং তাতে ব্যাংক লিঙ্ক পাওয়ার চেষ্টা করা। এটা অনেক কার্যকরী একটা উপায়। 

  অফপেজ এসইওতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 

 সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর একটা পদ্ধতি। এখানে আপনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটিভ থেকে আপনার কন্টাক্ট প্রচার করতে পারেন আপনার বন্ধুদের সাথে। এবং তাদেরকে বলতে পারেন যে তারা যেন আপনার কন্টেনটি শেয়ার করে দেয় তাদের বন্ধুদের সাথে  এভাবে মার্কেটিং করতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাছাড়া সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনি  অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করে আপনার কনটেন্টের ওয়েবসাইট নিয়ে পোস্ট করতে পারেন যেটা অনেক মানুষের ভিজিট করবে এবং আপনার ট্রাফিক অনেক সহজেই বেড়ে যাবে

ব্রান্ড মেনশন
 যখন আপনার ব্রান্ডের নাম বিভিন্ন ওয়েবসাইটে উল্লেখ থাকে তখন এটি সার্চ ইঞ্জিন কে ইঙ্গিত দেয় এবং আপনার ব্রান্ডটি পরিচিত হয়ে যায় সবার কাছে এবং এটি আপনার ওয়েবসাইটের রেংক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এজন্য আপনি একই ব্র্যান্ডে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করুন।

 ফোরাম পোস্টিং
 ফোরামে অংশগ্রহণ করা এবং আপনার বিশেষায়িত বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা। যেমন, Reddit,Quora, Stack Exchange ইত্যাদি প্লাটফর্মে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে সম্পর্কিত তথ্য শেয়ার  করুন। এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক প্রদান করতে পারেন। 

 আপনি উপরের এই নিয়ম মেনে অফপেজ এসইও করতে পারেন এবং বিভিন্ন ধরনেরলিংক বিল্ডিং, ব্যাক লিঙ্ক করার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং বিভিন্ন ফোরাম পোস্টিং করলে আপনি অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটকে খুব সহজেই ভালো ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন। 

 টেকনিক্যাল এসইও

 টেকনিক্যাল ইজ মূলত একটা ওয়েবসাইটের ভিতরে যে কাজগুলো টেকনিক্যাল পদ্ধতিতে করা হয়ে থাকে সেগুলোকে টেকনিক্যাল  এসইও বলা হয়।   অন পেজ এবং অফ পেজ  এসইওর মতোই টেকনিক্যাল  এসইও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তো চলুন টেকনিক্যাল এসইওর মধ্যে কি কি করতে হয় জেনে নিন।
  
টেকনিকেল এসইও বিষয়টা অনেকে না করতেও পারে। কারন এটা অন পেজ, অফ পেজ এসইও  থেকে একটু আলাদা। এই এসইওতে টেকনিক বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে এবং কিছু ছোট ছোট কিন্তু কঠিন কাজ  করতে হই এই এসইওতে।

 ওয়েবসাইটের স্পিড অপটিমাইজেশন 
 
ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অপটিমাইজেশন  ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাইটের লোডিং স্পিড বাড়াতে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করে কাস্টমাইজ করতে হয়।

  •  ইমেজ অপটিমাইজেশন
 ইমেজে এর আকার কমিয়ে এবং কমপ্রেস করে দ্রুত লোড করার ব্যবস্থা করা হয়।
  •  ব্রাউজার ক্যাসিং
 ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের লোড করানো যায়।
  •  কোড মিনিফিকেশন
 ওয়েবসাইটে html,css,javascript কোড গুলো মিনিফাই করে দ্রুত লোড করানো যায়।ওয়েবসাইটে এই ধরনের কোড যত কম দিতে পারেন।

  • মোবাইল ফ্রেন্ডলি 
 বর্তমানে ইন্টারনেট মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ডেক্সটপ এর চেয়ে বেশি। এজন্য আপনার  ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি হিসেবে তৈরি করতে হবে। আর মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট গুগল বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আপনার ওয়েবসাইটটি রেস্পন্সিভ ডিজাইনে তৈরি করা উচিতযাতে আপনার ওয়েবসাইটটি সকল ডিভাইস থেকে সহজে ব্যবহার করা যায়।  
  •  সাইট ম্যাপ
 একটি xml সাইট ম্যাপ তৈরি করে সার্ট ইঞ্জিন কে আপনার ওয়েবসাইটের সকল পেজ সম্পর্কে জানানো প্রয়োজন। যাতে গুগল আপনার সকল পেজে সহজেই স্ক্রল করতে পারে এবং সব পেজ সম্পর্কে জানতে পারে। সাইট ম্যাপটি গুগল সার্চ কনসোলে সাবমিট করতে হয়। 
  • Robots.txt
এই ফাইল ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনের স্কলারদের জন্য নির্দিষ্ট প্লেস গুলি ব্লক করতে পারেন যা আপনার ওয়েবসাইটের দেখানোর সময় সঠিক নির্দেশনা দেয়। 
  • Canonical tag
কেননিকাল ট্যাগ ব্যবহার করে ডুবলিকেট কনটেন্ট সমস্যার সমাধান করা যায়। মূলত এইটা ব্যবহার  করে সার্চ ইঞ্জিন কে জানানো হয় যে ইউআরএল টি মূল হিসেবে গ্রহণ করা হবে। যাতে রেংকিংয়ে ডুব্লিকেট কন্টেন্টের সমস্যা এড়ানো যায়। 
  • Stracture data markup
স্ট্রাকচার ডাটা মার্কআপ ব্যবহার করে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার কনটেন্টের ধরনের সম্পর্কে আরও তথ্য প্রদান করা হয় যা সার্চ রেজাল্টে রিচস্নিপেড হিসেবে কাজ করে থাকে এবং  ভিজিটর বাড়াতে সহায়তা পালন করে

  •  পেজের ইউ আর এল
 ইউ আর এল গুলো সংক্ষিপ্ত স্পষ্ট এবং ফোকাস কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ হওয়া উচিত। এর ফলে ইউজার এবং  সার্চ ইঞ্জিন উভয়েই সহজেই বুঝতে পারে পেজটিতে কি আছে। 

 আসলে এসইও এক্সপার্ট হতে হলে সব বিষয়ে যে এক্সপার্ট হতে হবে তা এমনটা নয়। কারণ অনেকে  শুধুমাত্র অন পেজ এসইও নিয়ে কাজ করে আবার অনেকে আছে যে অফপেজ এসইও নিয়ে কাজ করে থাকে। এখন টেকনিকেল এসইওটা হচ্ছে একটু জটিল বিষয়। এটা আসলে সবাই করেও না এবং সবার এটা করার প্রয়োজনও হয় না তবে আপনি চাইলে সম্পূর্ণ এসইও করতে পারেন। 

আমার শেষ কথা 

এসইও কি এই বিষয় নিয়ে উপরের সম্পূর্ণ সুন্দরভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি  আপনারা বুঝতে পেরেছেন। উপরে on page, off page এবং technical এসইও নিয়ে ভালোভাবেই আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি চাইলে সম্পূর্ণ এসইও নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। অথবা আপনার কোন ওয়েবসাইটকে রেংকিং নিয়ে আসতে পারেন।  

আপনি এসইও যদি ভালোভাবে নিয়মিত রিসার্চ করেন এবং প্র্যাকটিস করেন তাহলে আপনি একজন দক্ষ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটার হতে পারবেন। আর এসইও করার সময় এই বিষয়গুলো খেয়াল করে অপটিমাইজ করলে আপনার ওয়েবসাইটটি তাড়াতাড়ি রেংক হবে। 



পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

আগের পোস্ট পড়ুন পরের পোস্ট পড়ুন
এখনো কেউ কমেন্ট করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন

comment url