কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আপনি আমাদের শরীরকে ঠিক রাখার জন্য নানা কার্যক্রম করে থাকে। কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেলে আমাদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
কিডনি ড্যামেজ বা কিডনি রোগের লক্ষণ অনেক সময় প্রথমে ভালোভাবে বোঝা যায় না। তবে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেগুলো দেখে আপনি কিছুটা আন্দাজ করতে পারেন যে আপনার কিডনির সমস্যা হতে পারে। এবং এই লক্ষণ সমূহ দেখে আপনি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কিডনি ড্যামেজের লক্ষণ
শরীরের পেছনে কোমরের দিকে ব্যথা কিডনি কোন সমস্যায় আক্রান্ত হলে শরীরের পিছনে বিশেষ করে আপনার কিডনির কাছের এলাকায় পিছন দিকে তীব্র ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এটা বেশিরভাগ কিডনির কাছেই হয়ে থাকে।
প্রস্রাবে পরিবর্তন কিডনি ড্যামেজের ফলে প্রসাবে নানা ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। প্রসাবের পরিমাণ কম আবার অতিরিক্ত বেশি হতে পারে। কিডনি বেশি আক্রান্ত হলে অনেক সময় প্রসবের সাথে রক্ত যেতে পারে। প্রসাবে ফেনা হতে পারে। এবং প্রসাবের রং পরিবর্তন পাশাপাশি প্রসবের গন্ধ পরিবর্তন হয়ে যায়।
ফোলাভাব বা এডিমা কিডনি আমাদের দেহে সানির মতো কাজ করে এবং শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় তরল পদার্থ বের করে দেয়। কিডনি যখন সঠিকভাবে তরল পদার্থ বের করতে না পারে তখন শরীরে পানি জমে। এর কারণে হাত অথবা পা ফুলে যেতে পারে।
দুর্বলতা ও মাথাঘোরা
কিডনি আমাদের শরীর থেকে নানা ধরনের বর্জ্য পদার্থ টক্সিন বের করে দেয় যার ফলে আমরা স্বস্তি এবং শক্তি অনুভব করে থাকি। যখন এই বজ্র পদার্থ সঠিকভাবে কিডনি প্রক্রিয়া করতে পারে না তখন আমাদের শরীরে ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব হয়। এবং আমাদের মাথা ঘোরায়।
শ্বাসকষ্ট
কিডনি আমাদের শরীর থেকে যেহেতু তরল পদার্থের সঠিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে। এজন্য কিডনির সমস্যার ফলে আমাদের দেহে অতিরিক্ত পানি জমা পড়ে এবং এটা ফুসফুসেও জমে। আর ফুসফুসে পানি জমার কারণে আমাদের শ্বাসকষ্টের নানা সমস্যা সহ বুকে ব্যথা হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক বা পেটে ব্যথা
কিডনি সমস্যার কারণে আমাদের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে আবার তলপেটে ব্যথা হয়। কিডনি যখন সঠিকভাবে শরীর থেকে আবর্জনা বের করতে পারে না তখন আমাদের শরীরে টক্সিন গুলো পেটে আসার ফলে আমাদের পেটের সমস্যা এবং বমি বমি ভাব হয়। এবং তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে।
চর্মের সমস্যা
কিডনি আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বা টক্সিন বের করে দেয় যার ফলে আমরা সুস্থ এবং ফ্রেশ অনুভব করি। কিন্তু যখন কিডনি কোন রোগে আক্রান্ত হয় তখন এই প্রক্রিয়াটা সঠিক থাকে না। যার ফলে আমাদের শরীরে নানা ধরনের চুলকানি ত্বকের শুষ্কতা এবং ত্বকে নানা ধরনের ফোড়া দেখা দিতে পারে।
কিডনি পাথরের লক্ষণ
কিডনি পাথরের লক্ষণ মোটামুটি কিডনি ড্যামেজের কাছাকাছি। কিডনি পাথরের এই লক্ষণ গুলো দেখলে আপনি চিন্তিত না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ আপনার হোক বা না হোক সচেতনতা সবার পূর্বে। চলুন কিডনি পাথর নিয়ে একটু আলোচনা করি।
প্রস্রাবে তীব্র ব্যথা
কিডনি আমাদের শরীর থেকে তরল ফিল্টার করে প্রসাবের মাধ্যমে বাজে এবং টক্সিন পদার্থগুলো বের করে দেয়। আর কিডনি পাথর হলে প্রসাবের রাস্তা বন্ধ হয়ে তরল পদার্থ গুলো কিডনির উপর চাপ ফেলে এই চাপের ফলে তল ফেটে প্রচন্ড ব্যথা হয় এবং অনেক কিডনির পাশেও ব্যাথা হতে পারে। এটা বিশেষ করে কোমরের কাছে পিছনদিকে হয়ে থাকে অনেক সময় প্রসবের মূত্র থলিতেও হয়ে থাকে সামনের দিকে।
প্রসাবে রক্তক্ষরণ
কিডনি আমাদের শরীরের তরল সঠিকভাবে ফিল্টার করা থেকে অক্ষম থাকায় এই সময় আমাদের শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে যায় প্রসবের সাহায্যে। এবং এ সময় প্রসাবের ধারে ব্যাথা অনুভব হতে পারে।
প্রসাবের পরিবর্তন
কিডনি পাথরের কারণে প্রসাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে বা খুব ঘন ঘন প্রসবের প্রবণতা হতে পারে এবং প্রসাবের নানা ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি হয় পাশাপাশি প্রসাবের কালার পরিবর্তন হয়ে হলুদ হয়ে যায়।
পেট ও কোমরে ব্যথা
কিডনি পাথরের ফলে প্রসব ঠিক মত ক্লিয়ার হয়না যার ফলে প্রসবের প্রবল চাপের কারণে আমাদের তলপেটে ব্যথা হয় কোমরে ব্যথা হয়। এটা বিশেষ করে কোমরের পিছন দিকে ব্যাথা হতে পারে। এবং পেটের মূত্রথলিতে।
মুখে তিক্ত সাত বা বমি বমি হতে পারে
কিডনি আমাদের শরীর থেকে যখন টক্সিন এর সঠিক পরিষ্কার করতে পারে না। তখন আমাদের শরীরে নানা ধরনের টক্সিন বা খারাপ পদার্থ গুলো থাকার কারণে। আমাদের মুখে তিক্ত স্বাদ এবং বমি অনুভব হয় এবং বমি হতে পারে।
শরীরে ফোলা ভাব
কিডনি ড্যামেজ এর মতই কিডনি পাথরের কারণে শরীর থেকে তরল নিষ্কাশন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে থাকে যার ফলে আমাদের শরীরের নানা অংশে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে বিশেষ করে পা এবং হাতে ফোলা অনুভব হয়।
তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জ্বর আসা
কিডনি পাথরের ফলে আপনার শরীরের প্রচণ্ড পরিমান জ্বর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এবং আপনার সর্দি জ্বর অথবা ঠান্ডা লাগার সমস্যা হতে পারে।
কিডনি ড্যামেজের কারণ
বর্তমানে আমাদের নানা ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবারদাবার এবং অস্বাস্থ্যকর চলাফেলার জন্য আমাদের শরীরে নানা অসুখ বাসা বাঁধে। তো কিডনি ড্যামেজ এর জন্য আমাদের কিছু কাজকর্ম দায়ী চলুন এ বিষয়ে জেনে নি।
ডায়াবেটিস
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিডনি ড্যামেজের ঝুঁকি বেশি থাকে। কারন আমার ডায়াবেটিস আমাদের শরীরে রক্তে অতিরিক্ত শর্করা পরিমাণ বৃদ্ধি করে। যা আমাদের কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
উচ্চ রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপ ও কিডনির রক্তনালী থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি কিডনির কার্যক্রম সঠিক করতে বাধা দেয়। অনেকদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে আপনার কিডনি ক্রনিক রোগে পরিণত হতে পারে।
কিডনি ইনফেকশন
অনেক সময় আমাদের মূত্রথলিতে কোন ধরনের ইনফেকশন বা ব্যাকটেরিয়ার জনিত রোগ হতে পারে। যে রোগটা যদি দীর্ঘস্থায়ী থাকে সেটা কিডনিতে আক্রান্ত করে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
কিডনি পাথর
কিডনি পাথর হওয়ার ফলে কিডনি পাথর যদি আপনার কিডনির রক্তনালী দিয়ে চলাফেরা করার সময় এটি কোনভাবে কিডনির টিউবকে আঘাত করে তখন কিডনির টিউবের ড্যামেজের কারণে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ
আমরা শরীরকে শক্তিশালী বা সুন্দর বডি তৈরি করার জন্য নানা ধরনের প্রোটিন পাউডার খেয়ে থাকি। এই পাউডার গুলো আমাদের কিডনির উপর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি অনেকেই অতিরিক্ত প্রোটিন নিয়ে কিন্তু এই অতিরিক্ত প্রোটিন কিডনি প্রসেস করতে সমস্যা হয় তখন কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রোটিন খাওয়ার সময় খেয়াল রাখবেন যেন আপনার হজম করতে কোন সমস্যা না হয় বা হজম করতে সমস্যা হয় এর অতিরিক্ত খাবেন না।
অ্যালকোহল এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য
অতিরিক্ত অ্যালকোহল বা মাদক দ্রব্যের ব্যবহার আমাদের লিভারের কথিত করেই লিভারের ক্ষতির পাশাপাশি এই তরল কিডনি যখন রিফাইন করে তখন আমাদের কিডনির নানা ধরনের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। এজন্য এ ধরনের বাজে খাবার-দাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় ঔষধ
আজকাল আমরা প্রয়োজন অপ্রয়োজনে নানা ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক এবং নিয়মিত পেইনকিলার ওষুধ গ্রহণ করে থাকি। নিয়মিত পেইনকিলার আমাদের কিডনির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে থাকে। এজন্য পেইনকিলার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন প্রয়োজন হলে প্যারাসিটামল খেতে পারেন।
জেনেটিক বা পারিবারিক
আপনার পরিবারের যদি পূর্বের কোন সদস্যের হয়ে থাকে তার জিনগত কারণে আপনারও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জেনেটিক কিডনি ড্যামেজের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
কিডনি পাথরের কারণ
কিডনি পাথর হচ্ছে কিডনিতে কঠিন পদার্থ বা পাথরের সৃষ্টি। কিডনি পাথর নানা কারণে হয়ে থাকে এ বিষয়ে গুলো চলুন জেনে নিই।
পানি কম খাওয়া
আমাদের শরীরের বেশিরভাগ বা 70% পানি দ্বারা গঠিত। এবং আমাদের কিডনি সব সময় পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকে। শরীরে যখন পর্যাপ্ত পানি থাকে না তখন আমাদের মূত্র ঘন হয়ে যায় এবং কিডনিতে নানা ধরনের আবর্জনা জমে সেগুলো পাথরে পরিণত হয়। কিডনিতে পানি কম থাকার কারণে কিডনি সঠিকভাবে আবর্জনাগুলো ফিল্টার করে বের করতে পারে না।
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণ
কিছু মানুষ আছে যারা অতিরিক্ত বা রেগুলার ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট নিয়ে থাকে। অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট নেয়ার কারণে আপনার কিডনির সমস্যা হতে পারে।
ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি
আমাদের শরীরের রক্তে যদি ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হয় তখন এটি কিডনিতে পাথর তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে কিছু সামুদ্রিক মাছ থেকে ইউরিক অ্যাসিডের উৎপাদনটা বেশি হয়ে থাকে।
জেনেটিক বা পারিবারিক
কিডনি ড্যামেজ এর মত কিডনি পাথর আপনার বংশগত রোগ হতে পারে। আপনার পূর্ব পুরুষদের অথবা আপনার মায়েরও যদি হয়ে থাকে তাহলে এটা আপনার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তবে সবার ক্ষেত্রে নাও হতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন
অতিরিক্ত মেদবহুল শরীর কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। কারণ এটি হরমোনের নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটায় যা কিডনিতে পাথরের গঠন সহজ করে ফেলে।
কিডনির এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচার উপায়
কিডনির এ ধরনের রোগ থেকে বাঁচার জন্য আমাদের জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে তাহলেই আমরা কিডনির এ ধরনের রোগ থেকে বেঁচে গেলেও যেতে পারি।
পর্যাপ্ত পানি পান
পানি আমাদের শরীরকে সঠিকভাবে পরিষ্কার করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পানির মাধ্যমে কিডনি শরীর থেকে নানা ধরনের আবর্জনা এবং টক্সিন গুলো বের করে দেয়। এজন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন
অতিরিক্ত ওজন কিডনির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য চেষ্টা করুন ওজন মিডিয়াম রাখার। কারণ অতিরিক্ত ওজনের পাশাপাশি অতিরিক্ত স্থল দেহ কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ কমানো
কিডনি সুস্থ রাখতে খাবারের তালিকায় আপনার অতিরিক্ত লবণকে বাদ দিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবেনা এবং চেষ্টা করবেন যত পরিমাণ কম লবণ খাওয়া সম্ভব হয়।
স্বাস্থ্যকর খাবার অভ্যাস
যেই ধরনের খাবারে ইউরিক এসিডের পরিমাণ বেশি রয়েছে। সেই সব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এবং চেষ্টা করুন স্বাস্থ্যকর ভালো খাবার গুলো খাওয়ার জন্য।
অ্যালকোহল এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন
অ্যালকোহল খাওয়া একদম বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন। এবং চা এ প্রচুর পরিমাণ ক্যাফেইন থাকে। এজন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত বা বেশি পরিমাণ চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস কিডনির জন্যই খুবই ক্ষতিকর। এজন্য শরীরকে ফিট রাখার চেষ্টা করুন উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিকসকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
প্রোটিন গ্রহণে সাবধানতা
প্রোটিন খাওয়ার সময় আপনি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে আপনার প্রোটিন খাওয়ার ফলে কিডনিতে কোন প্রভাব পড়ছে না আপনি ইজিতেই প্রোটিন হজম করতে পারছেন। আপনি যদি প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ বেশি হয়ে যায় তাহলে একটু কমিয়ে দিয়ে কিডনিকে সুরক্ষা করুন।
শরীর চর্চা
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সবার প্রয়োজন নিয়মিত শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা। কারন আমরা যখন ফীট থাকি তখন আমাদের সব সমস্যায় দূরে থাকে। আর আমরা যখন অলস এবং মোটা হয়ে যায় তখন আমাদের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
লেখকের শেষ কথা
আমি আপনাদের কিডনি ড্যামেজ এবং পাথরের সম্পর্কে সাধারণ একটু ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনি যখন এ ধরনের লক্ষণ বুঝতে পারবেন। তখন অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। তারপরে ডাক্তার হতে পরামর্শ নিয়ে দেখুন অন্য কোন সমস্যা না আপনার কিডনির সমস্যা।
কিডনিকে সুস্থ রাখতে আমাদের পেইনকিলার এবং এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ সেবনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজন ব্যতীত ওষুধ সেবন করা যাবে না এবং পেইনকিলার প্রয়োজন হলেও কম কম সেবন করার চেষ্টা করতে হবে। এবং প্রচুর পানি খান আপনার কিডনিকে সুস্থ রাখুন।
এখানে কমেন্ট করুন
comment url