অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা ২০২৫
অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা করার জন্য ২০২৫ সালে আপনি কিছু কার্যকরী ব্যবসার আইডিয়া পেয়ে যাবেন এই পোস্ট থেকে। আপনি যদি ভেবে থাকেন অল্প টাকায় কোন ব্যবসা করার জন্য তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এখান থেকে কোন না কোন একটা আইডিয়া আপনি পেয়ে যাবেন।
আপনার যদি টাকার স্বল্পতার কারণে কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। ইনকাম করার উপায় হিসেবে কোন ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন এ বিষয় নিয়ে খুবই চিন্তিত তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এবং এখান থেকে অবশ্যই ভালো কিছু বিজনেস আইডিয়া পেয়ে যাবেন। যা আপনি অল্প টাকায় শুরু করতে পারবেন এবং ভাল ইনকাম হবে।
সুচিপত্রঃ অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা 2025
- অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
- অনলাইন শিক্ষকতা করে ব্যবসা শুরু
- অনুবাদের ব্যবসা বা বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা দেওয়া
- অনলাইনে খাবারের হোম ডেলিভারি সার্ভিস
- অনলাইন বেকারির সেবা প্রদান
- জুস বা শরবত বিক্রি
- মিনারেল ওয়াটারের সেবা প্রদান করে ব্যবসা
- ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়ের উপায়
- গুগলে ওয়েবসাইট তৈরি করে নানা ধরনের ব্যবসা
- মোবাইল রিচার্জের দোকান
- ফুডভ্যান বা ফাস্টফুড বিক্রি
- চা নাস্তার দোকান দিয়ে ব্যবসা করা
- লন্ড্রি ও ক্লিনিক সার্ভিস
- পেপার ব্যাক বাট ঠোঙ্গা তৈরি করে আয়
- আমার শেষ কথা
অল্প পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
আমরা অনেকেই আছি ব্যবসা করার জন্য আমাদের ইচ্ছা থাকে কিন্তু ব্যবসা করতে প্রচুর পরিমাণ টাকা লাগিয়ে বিধায় আমরা ব্যবসা শুরু করতে পারি না। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টা জানেনা যে ব্যবসা শুধু বেশি টাকা দিয়ে নয় স্বল্প টাকা দিয়েও ভালো মানের ব্যবসা শুরু করা যায়। এবং এখান থেকে অনেকেই মাসে ৫০ থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকে। কিন্তু অনেকে আমরা এগুলো বিষয় চলে যাই।
এজন্য আপনার ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলে আপনাকে কিছু ভালো ভালো বিজনেস আইডিয়া এখানে দেয়া হবে। এই আইডিয়াগুলোকে কাজে লাগাতে চাইলে আপনার খুব বেশি টাকার প্রয়োজন হবে না এবং এখান থেকেই ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি পড়াশোনা শেষ করে থাকেন কোন চাকরি বাকরি না পান তাহলে এ ধরনের আইডিয়া কি কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন। চাকরি থেকে আশা করি এ ধরনের ব্যবসা করলে আপনার অনেক বেশি ইনকাম হবে।
এজন্য চলুন অনেকগুলো কার্যকরী ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে কথা বলি যা খুব স্বল্প টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন।
অনলাইন শিক্ষকতা করে ব্যবসা শুরু
আপনি যদি পড়াশোনা শেষ হয়ে যায় কোন চাকরি না পান তাহলে অনলাইন শিক্ষকতা আপনার জন্য একটা সেরা মাধ্যম হতে পারে। আপনার যে বিষয়ে অভিজ্ঞতা বেশি সেই বিষয়ে ইউটিউবে মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করবেন। এবং আস্তে আস্তে আপনার ভিডিওর চাহিদা ভালো হলে এখান থেকে আপনি ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ
ছাত্র অবস্থায় আয়ের উপায়
আর বর্তমানে অনলাইন শিক্ষকতার চাহিদা অনেক বেশি। কারণ আমরা এখন চায়না যে কোন জায়গায় গিয়ে কোন কিছু শিখতে। আমরা ঘরে বসেই নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার জন্য খুবই আগ্রহী। এবং এটা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে ভবিষ্যতে কেউ অফলাইনে ক্লাশ করবে বলে আমার মনে হয় না এজন্য আপনার যে বিষয়ে অনেক বেশি জ্ঞান রয়েছে সেটা সাবজেক্ট রিলেটেড না হলেও চলবে youtube এ চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করে ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।
অনুবাদের ব্যবসা বা বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা দেওয়া
আপনার যদি একের অধিক ভাষা জানা থাকে। আপনি যদি বাহিরের দেশের ভাষা গুলো ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং বলতে পারেন। তাহলে আপনি ভাষা শিক্ষাদানের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এবং এটা আস্তে আস্তে বড় ব্যবসাতে রূপান্তর করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক লোক বিদেশ প্রবাস ভ্রমণের জন্য তাদের ভাষা শেখার আগ্রহ অনেক বেশি। এজন্য আপনি চাইলে ভাষা শিখাতে পারেন।
অনুবাদ করে ব্যবসা এটা আবার কেমন কথা। অনলাইনে অনেক ধরনের কাজ পাওয়া যায় অনুবাদ করার আপনি যদি বাহিরের দুই একটা দেশের ভাষা ভাল বুঝতে পারেন। তাহলে আপনি অনলাইনে অনুবাদের কাজ করে ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। এবং এই ধরনের প্রচুর পরিমাণে কাজ করে অনেকেই ভালো টাকা ইনকাম করছে। এজন্য আপনার ভাষার জ্ঞান কি কাজে লাগিয়ে এখন থেকেই অনুবাদের কাজ শুরু করে দিন।
অনলাইনে খাবারের হোম ডেলিভারি সার্ভিস
বর্তমানে মানুষ অনলাইন সুবিধার উপরে ঝুঁকে পড়ছে। এবং যারা বাহিরে চাকরি করে থাকে অনেক সময় তাদের পরিবার থেকে দূরে থাকার ফলে তারা নিজের খাবার নিজে তৈরি করার সময় পায়না। এজন্য আপনি যদি অনলাইন খাবারের হোম ডেলিভারি সার্ভিস তৈরি করতে পারেন আপনার নিকটস্থ এলাকায়। তাহলে আপনি অবশ্যই এখান থেকে ভালো পরিমাণ ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন এবং এটা আস্তে আস্তে অনেক বড় ব্যবসায় পরিবর্তন করতেও পারবেন।
তবে এই সার্ভিসটা দেওয়ার জন্য অবশ্যই শহর এলাকায় হতে হবে কারণ গ্রামের মানুষ অনলাইনে খাবার অর্ডার করে না। এজন্য আপনার বসবাস যদি শহরে এলাকাতে হয়ে থাকে। তাহলে আপনি কোন হোটেলের সাথে কন্টাক্ট করে সেখান থেকে অনলাইন ডেলিভারির কাজ শুরু করে দিতে পারেন। এবং এই কাজটা দিন দিন অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এবং ভবিষ্যতে দিন দিন অনলাইন খাবারের অর্ডার অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
অনলাইন বেকারির সেবা প্রদান
বর্তমানে আমরা সাধারণ খাবারের পাশাপাশি কেক, পাউরুটি, বিস্কিট এ ধরনের খাবার প্রতিনিয়ত গ্রহণ করে থাকি। এবং আমরা যখন বাহিরে যাই সচরাচর কমবেশি সবাই এ ধরনের খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হতে দেখা যায়। তাই আপনি যদি বেকারির কাজটা শুরু করে দিতে পারেন ভালো খাবার তৈরি করে অনলাইনে যদি ভাল সার্ভিস প্রদান সেবা চালু করতে পারেন। তাহলে আপনি অবশ্যই এখান থেকে ভালো পরিমান আয় করার একটা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবেন।
তবে এই ধরনের ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সাধারণ বাজার এলাকা থেকে ভালো বেকারি খাবার প্রস্তুত করতে হবে। যদি আপনি সাধারণ খাবারের চেয়ে ভালো খাবার প্রস্তুত না করতে পারেন তাহলে আপনার খাবারটা তেমন একটা মানুষের পছন্দ হবে না এবং বিক্রি করতে পারবেন না। এবং এই ধরনের খাবার যদি আপনি ভালোভাবে তৈরি করে কিছুদিন মার্কেট করে যদি ভালো রেসপন্স পান তাহলে আস্তে আস্তে অবশ্যই ব্যবসা অনেক বড় করতে পারবেন।
জুস বা শরবত বিক্রি
বর্তমানে আমাদের দেশের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে গেছে। এবং মানুষের অসামাজিক কাজকর্ম এবং অস্বাভাবিক জীবনযাত্রার ফলে দিন দিন প্রচুর পরিমাণে গাছ কাটা পড়ে এবং কলকারখানার বাজে ধোঁয়া এবং নানা ধরনের আবর্জনা আমাদের পরিবেশকে দিন দিন নষ্ট করে ফেলছে। যার ফলে আমাদের বৈশ্বিক আবহাওয়া বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং আমাদের দেশেও প্রচুর পরিমাণে তাপমাত্রা থাকে। এজন্য শহর এলাকায় গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে জুস এবং সর্ব পানি মানুষ আগ্রহী হয়ে থাকে।
শীতের দুই তিন মাস ব্যতীত বাংলাদেশ প্রায় সারা বছরই শরবত এর উপর মানুষের খুব ভালো একটা চাহিদা রয়েছে। কারণ এত তাপমাত্রার ভীতর মানুষ যদি পানীয় ভালোভাবে পান না করে তাহলে তাহলে শরীর ভালো থাকবে না। এজন্য আমরা কমবেশি সবাই গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে পানীয় জাতীয় খাবার যেমন লেমন জুস, আখের জুস, ডাবের পানি এবং নানা ধরনের উপাদান দিয়ে তৈরি শরবত ও সফট ড্রিংক খেয়ে থাকি। এবং অনেকে শরবত বিক্রি করে মাসে ৫০ থেকে লাখের ওপরে ইনকাম করে থাকে।
বাংলাদেশে প্রচন্ড গরমের প্রকোপে শরবত বিক্রি করে অনেকের স্বাবলম্বী হয়ে গেছে। এজন্য আপনি যদি এ ধরনের ব্যবসা করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অল্প টাকা দিয়ে ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য দেরি না করে এখনই শুরু করে দিন এ ধরনের ব্যবসা।
মিনারেল ওয়াটারের সেবা প্রদান করে ব্যবসা
বর্তমানে সারা পৃথিবীর সহ বাংলাদেশের রোগব্যাধির সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এজন্য আমরা খাবারদাবারের প্রতি এখন অনেক সচেতন। শহরে এলাকাই ভালো পানির পরিবেশ সব জায়গায় থাকে না। এজন্য অনেকের মিনারেল ওয়াটারের প্রয়োজন হয়ে থাকে যা বাহির থেকে নেয়া লাগে। আপনি যদি মিনারেল ওয়াটারের সেবা প্রদান করে ব্যবসা করতে চান তবে এটাও স্বল্প টাকায় করতে পারবেন। এবং এই ধরনের ব্যবসার চাহিদাও রয়েছে অনেক বেশি।
আপনাকে কোন একটা ভালো পানির সোর্স থেকে পানি নিয়ে ভ্যানে করে বিভিন্ন বাড়িতে সেবা প্রদান করতে হবে। আপনি চাইলে এটাও হতে পারে আপনার আয়ের একটা উৎস। যেমন ধরুন ঢাকা শহরে খাবার প্রাণীর সঠিক ব্যবস্থা না থাকাই শহরে প্রচুর পরিমাণ পানির চাহিদা থাকে। আপনি যদি একজন পরিশ্রমই ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যবসা করতে পারেন বিভিন্ন বাড়িতে পানির দাম সেবা প্রদান করে অল্প টাকায় ভালো আয়ের উৎস তৈরি করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে আয়ের উপায়
বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীতে ইউটিউব থেকে আয়ের উপায় অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এবং বাংলাদেশে কোটি কোটি টাকা ইউটিউব থেকে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের ইউটিউবাররা নিয়ে আসছে। এবং ইউটিউবে নির্দিষ্ট কোন বিষয়ে দক্ষতা প্রয়োজন হয় না আপনি যেকোন বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এজন্য আপনার ভিতরে থাকা যেকোনো বিষয়ে দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এখনই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ভিডিও আপলোড করা শুরু করে দিন।
ইউটিউবকে যদি আপনি ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলেও কোন সমস্যা নেই যদি পরিশ্রম করে। ভালো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করতে পারেন ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি এখানে দীর্ঘ সময় ধরে আয় করতে পারবেন। এবং এখন ইউটিউবে শর্ট ভিডিও আসার কারণে অনেক সিম্পল কাজ করেও ইউটিউব থেকে প্রচুর পরিমাণ আয় করা যাচ্ছে। এজন্য আপনার ভিতর থাকা ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে টাকা লুফে নিন।
গুগলে ওয়েবসাইট তৈরি করে নানা ধরনের ব্যবসা
বর্তমানে সবচেয়ে সেরা এবং জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে গুগল। আমরা যেকোন বিষয় জানার জন্য প্রথমেই গুগলকে সার্চ করে থাকি। এবং আমরা দিনে প্রচুর পরিমাণ google ব্যবহার করে থাকি কোন কিছু জানা বা খোঁজার জন্য। এবং গুগল থেকে প্রচুর পরিমাণ অনলাইন সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এজন্য আপনি চাইলে এখানে নানা ধরনের অনলাইন সেবা প্রদান অথবা প্রোডাক্ট বিক্রি করে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।
আপনার গুগলে ব্যবসা করার প্রথমে প্রয়োজন হবে একটা ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর কিছু লেখালেখি করতে পারেন অথবা আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা করতে চান তাহলে অন্যের প্রোডাক্ট নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে সাজিয়ে নানা ধরনের অ্যাফিলিয়েট এবং ড্রপশিপিং ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। যেহেতু বর্তমানে অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়ের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে এজন্য আপনি গুগলকে কাজে লাগিয়ে গুগল থেকে নানা ধরনের ব্যবসা সেবা প্রদান করতে পারবেন।
মোবাইল রিচার্জের দোকান
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মোবাইল ইউজারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবং অনেক মানুষের কাছে একের অধিক মোবাইল ফোন থাকে। আমরা যেহেতু প্রচুর পরিমাণ মোবাইল ব্যবহার করে থাকি সেটা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য হোক আর কারো সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। আমাদের মোবাইল ব্যবহারের জন্য প্রতিনিয়ত মোবাইল রিচার্জ করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এজন্য চাইলে আপনি মোবাইল রিচার্জ এর দোকান দিয়ে এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেহেতু আমাদের মোবাইল ইউজারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে এই ব্যবসা চাহিদাও দিন দিন বেড়ে যাবে এজন্য এই ব্যবসা থেকে অনেক লাভ করতে পারবেন। এবং আপনার হাতে যে কোন মোবাইল থাকলে আপনি খুব সহজেই আপনার মোবাইল দিয়ে রিচার্জ কার্য সম্পাদন করতে পারবেন।
ফুডভ্যান বা ফাস্টফুড বিক্রি
বর্তমানে মানুষ নানা কাজকর্মে ব্যস্ত থাকার কারণে প্রচুর মানসিক চাপে ভোগে থাকেন। আর মানুষেরা যখন প্রচুর ডিপ্রেশন ও মানসিক চাপে ভোগেন তখন তাদের প্রচুর পরিমাণে ক্ষুধা লাগে এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের চাহিদা বেড়ে যায়। এজন্য শহর এলাকায় প্রচুর পরিমাণে ফাস্ট ফুডের দোকান থাকার পরেও প্রচুর পরিমাণ ভিড় হয়ে থাকে এইসব দোকানগুলিতে।
এবং ফাস্টফুড বিক্রি করে একেক জন মানুষ ৫০ থেকে এক-দেড় লাখ টাকা মাসে পর্যন্ত আয় করে থাকে। আমার দেখা মতে শহরে একজন চাকরিজীবী মানুষের থেকে একজন ফুটবল দিয়ে পাসপোর্ট বিক্রি করা মামার আয়ের পরিমাণ ৩-৪ গুণ হয়ে থাকে। কারণ বর্তমানে মানুষ প্রচুর পরিমাণ ফাস্টফুডের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। আপনি চাইলে আপনার খাবারের নতুনত্ব এনে প্রচুর পরিমাণে পাসপোর্ট বিক্রি করে ভালো ব্যবসা করতে পারবেন।
চা নাস্তার দোকান দিয়ে ব্যবসা করা
আমরা সারাদিন যত পরিমানে খাবার দাবার খেয়ে থাকি না কেন বাহিরে যে যদি চা বিস্কিট না খায় তাহলে আমাদের দিনেই ভালোভাবে যায় না। এবং অনেকেই এই চায়ের ব্যবসা করে তাদের সংসার চালিয়ে থাকে এবং এখান থেকে ভালো পরিমাণ আয়ো করে থাকে। অনেক মানুষ পরিবারে নিজেরা চা তৈরি করে খায়। কিন্তু আমাদের বেশিরভাগ মানুষ চা খেতে পছন্দ করে তবে নিজেরা খায় না তারা বাহিরে বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা দেয়া গল্পের মাধ্যমে চা খেয়ে থাকে।
এজন্য আপনার চা যদি কোন আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে তৈরি করে চায়ের দোকান দিতে পারেন। এবং ভালো সেবা প্রদানের মাধ্যমে আপনি এই ব্যবসা করে প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। এবং শহরের অনেক ক্যাফে আছে যেখানে এক একটা চা খেতে ১০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। এজন্য যদি আপনি চা কফির উন্নত প্রক্রিয়ায় ব্যবসা করতে পারেন। তাহলে এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা ইনকাম হবে।
লন্ড্রি ও ক্লিনিক সার্ভিস
যারা শহর এলাকায় চাকরিজীবী ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন। তারা তাদের কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে তাদের পোশাক ধোয়া বা পরিষ্কার করতে পারেন না। এজন্য তারা চেষ্টা করে অন্য কোন ব্যক্তিকে টাকা দেয়ার মাধ্যমে পোশাক পরিস্কার করিয়ে নিতে। এবং শহর এলাকায় এই সেবা টার অনেক চাহিদা রয়েছে। কারণ শহরে মানুষ প্রচুর পরিমাণে তাদের কর্মে ব্যস্ত থাকে।
এজন্য আপনার যদি ইচ্ছা থাকে যে যে কোন ধরনের কাজ করে ব্যবসা শুরু করবেন। আপনি যদি কোন কাজকে ছোট মনে না করেন তাহলে এই ধরনের কাজ করেও প্রচুর পরিমাণ আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জন করতে পারবেন। এবং যদি দেখেন যে আপনার দিন দিন কাজ আসা বেড়ে যাচ্ছে তাহলে আপনি কর্মচারী রেখে এটা ভালো একটা ব্যবসাতে রূপান্তর করতে পারবেন। যেটা আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দিতে পারে।
পেপার ব্যাক বাট ঠোঙ্গা তৈরি করে আয়
পেপার ব্যাগ বা কাগজের ঠোঙ্গা নানা ধরনের মুদি দোকান থেকে শুরু করে ফাস্টফুড বিক্রির দোকানে প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। কোন জিনিস বিক্রির পর সেটা প্যাকেজিং হিসেবে এই পেপার ব্যাগ বা ঠোঙ্গা প্রয়োজন হয়। এবং বর্তমানে পেপার ব্যাগ এবং কাগজের ঠোঙ্গা তৈরি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর জন্য অনেকেই কাগজের ঠোঙ্গার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।
কারণ এই ধরনের উদ্যোগে আমাদের পরিবেশের অনেক উপকার হয়। যার কারনে ঠোঙ্গার মাধ্যমে নানা ধরনের পণ্য সেবা প্রদান করে অনেক মানুষ পরিবেশের খেয়াল রাখার চেষ্টা করছেন। এজন্য আপনি যদি এ ধরনের ব্যবসা করতে চান তাহলে অল্প ইনভেস্ট করেই এ ধরনের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এবং যেহেতু এ ধরনের ব্যবসার চাহিদা রয়েছে ভালো তাই এখান থেকে আপনি ভাল পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
আমার শেষ কথা
স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা করার অনেক কার্যকরী এবং সহজলভ্য অনেকগুলো উপায় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। আপনি যদি ব্যবসা করব করব ভাবছেন কি বিষয় নিয়ে ব্যবসা করবেন বুঝতে পারছেন না এবং আপনার কাছে অনেক বেশি টাকাও নেই। তাহলে আপনি এই ধরনের ব্যবসা দিয়ে আপনার জীবনের প্রথম ধাপটা শুরু করে দিতে পারেন।
এবং আপনার যেটা ভালো লাগে যে বিষয় নিয়ে আপনি কাজ করতে ইচ্ছুক সেই বিষয়টা নিয়েই আপনি শুরু করে দিন। এবং যেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এখান থেকে আপনি মিনিমাম দুইটা চাকরিজীবী ব্যক্তির মতো ইনকাম করতে পারবেন। আর বর্তমান বাজারে সেবার পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই বসে না থেকে শুরু করে দিন।
এখানে কমেন্ট করুন
comment url