বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি তা নিয়ে অনেকেরই জানার আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে বাংলাদেশের বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা লাখ লাখ হয়ে যাচ্ছে। এবং এই সেক্টর থেকে অনেকে ভালো পরিমাণ ইনকাম করছে।
তাই এই বিষয়ে জানার জন্য অনেকে ব্যাকুল হয়ে থাকে আসলে কোন স্কিলটা অর্জন করা উচিত এবং কোন সেক্টর টা নিয়ে কাজ করলে খুব দ্রুত উন্নতি করা সম্ভব। এই পোস্টে এই বিষয় নিয়ে একদম সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যাদের ফ্রিল্যান্সিং ভালো এবং চাহিদা সম্পূর্ণ স্কিল নিয়ে জানার আগ্রহ আছে তারা পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ন।
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর
বর্তমানে সবকিছু অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। যার ফলে অনলাইনে কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কর্মীর প্রয়োজন হয়। প্রতিনিত অনলাইনে নতুন নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে হচ্ছে। নানা ধরনের ডিজাইন, মার্কেটি্ রাইটিং। বিশেষ করে এখন থেকে পাঁচ বছর পরে সকল কেনাকাটা এবং প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয় সকল কিছু অনলাইনের মাধ্যমে করা হবে। আর অনলাইনের মাধ্যমে এই সকল কাজ করার জন্য এই ধরনের প্রচুর দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন।
এভাবেই দিন দিন দক্ষ মানুষের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে। আর এভাবেই দিন দিন অনলাইন প্লাটফর্মে সেবা ক্রয়, বিক্রয় সম্পন্ন করা হচ্ছে। এবং অনলাইনে কেনাকাটা বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি অনলাইন মার্কেটিং কে ম্যানেজ করার প্রক্রিয়াটাও এখন অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই দিন দিন ঘরে বসেই অনলাইনে সেবা প্রদান এবং ঘরে বসে অনলাইনে মার্কেটিং এর পদ্ধতি বা ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে।
তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নানা ধরনের কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে এর মধ্যে কিছু কাজ ভবিষ্যতে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে। কোন সেক্টরের কাজগুলো ভবিষ্যতে বেশি চাহিদা রয়েছে এই পোস্টে সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনাদের একদম পানির মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে যে কোন স্কিলটা আপনি শিখলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আয় করতে পারবেন।
বেশি চাহিদা সম্পন্ন কাজের লিস্ট
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃ ভবিষ্যতে চাহিদা সম্পন্ন কাজের মধ্যে প্রথমেই এ আইকে রাখার কারণ হচ্ছে আই ভবিষ্যতে সকল বিষয়ে ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে আমরা যেমন যেকোনো জানা এবং খোঁজার জন্য গুগলে সার্চ দিয়ে থাকি পাশাপাশি ইউটিউবে সার্চ করি। আর ভবিষ্যতে এআই দিয়ে নানা ধরনের প্রফেশনাল কাজ সম্পন্ন করা হবে এবং বড় বড় কঠিন কাজগুলো সহজেই করা যাবে।
এজন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর বলেন আর চাকরির বাজার আপনি যদি এআইয়ের সঠিক ব্যবহার শিখেন অথবা এ আই ডেভলপমেন্ট শিখতে পারেন তাহলে আপনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মে এক ধাপ এগিয়ে যাবেন। কারণ আমরা যখন সকল ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার করব এ আই ব্যবহারের জন্য আমাদের কিন্তু ডেভলপ করতে হবে। এত শুধু শুধু যেকোনো কিছু সমাধান বা কাজ করবে না এর জন্য এআইকে ভালোভাবে তৈরি করতে হয়।
এজন্য আপনি ভবিষ্যতে টিকে থাকার জন্য একজন এ আই ডেভলপার হতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অথবা চাকরির বাজারে সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন এবং খুব সহজেই ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এপ ডেভেলপমেন্টঃ এ আই এর পাশাপাশি এই কাজটাও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দিন দিন মোবাইল ইউজারের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে যাচ্ছে। আর মোবাইল ইউজারের সংখ্যা বাড়ার ফলে আমাদের নানা ধরনের সেবা প্রদান করতে হয় সেবা প্রদান করার জন্য অনেক অ্যাপ ব্যবহার করতে হয় । এই সেবা মোবাইলে প্রদান করার জন্য মোবাইলে এবং কম্পিউটারের প্রদান করার জন্য কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরি করতে হয়।
এজন্য আপনি যদি একজন ভালো মানের অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারেন তাহলে ভবিষ্যতে আপনি খুব সহজেই আপনার ক্যারিয়ার সবার থেকে একটু আলাদা করতে পারবেন। এজন্য একজন ডেভেলপার হওয়ার চেষ্টা করুন এই কাজের চাহিদা থাকবে অনেক। পাশাপাশি এই সেক্টর থেকে আপনি অনেক পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমানে দিন দিন আমরা আমাদের বেশিরভাগ সময় অনলাইনে ব্যয় করে থাকি সেটা বিনোদনের জন্যই হোক বা না ধরনের প্রয়োজনে কাজকর্ম। পাশাপাশি যেদিন যাচ্ছে এখন অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়ও অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আর অনলাইনে বিক্রয় পরিচালনা করার জন্য নানা ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইনফরমেশন দিতে হয়। এজন্য ভবিষ্যতে প্রচুর পরিমাণে ওয়েব ডেভলপারের প্রয়োজন পড়বে।
এবং বিশেষ করে এআই আমাদের নানা ধরনের ইনফরমেশন অনেকগুলো ওয়েবসাইটের থেকে নিয়ে আসার পরে দিয়ে থাকে। এ আই এর পাশাপাশি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে অনেক বেশি চাহিদা থাকবে। কারণ আপনি যদি google এ কোন কিছু জানার জন্য সার্চ করেন ওটা কোন ওয়েবসাইট থেকে আসে পাশাপাশি কোন প্রোডাক্ট বিষয়ে জানার জন্য বা কেনার জন্য ছাড় দিলে ওটাও কোন একটা ওয়েবসাইটে সুন্দর করে সাজানো থাকে।
এবং ওয়েবসাইট ছোট থেকে বড় সকল ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়ে। আর যে কোন মানুষই তো ওয়েবসাইট বানাতে পারবে না এজন্য প্রয়োজন পড়বে একজন ভালো দক্ষ মানুষের। আপনি চাইলে এই বিষয়ে ভালো দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে এই সেবায় নিয়োজিত করে অনেক ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।
ডেটা এনালাইসিস এবং মেশিন লার্নিংঃ তথ্যের আদান-প্রদান এবং তথ্য বিশ্লেষণ এই বিষয়টা বহুকাল আগে থেকেই চলে আসছে এবং এটা ভবিষ্যতেও এভাবেই চলতে থাকবে তবে কিছু পদ্ধতি পরিবর্তন হবে এবং উন্নত হবে। আমরা যে কোন কাজই করি না কেন আমাদের সেই কাজে তথ্যের আদান-প্রদান প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ব্যবসা করেন আপনার ব্যবসা সম্পর্কে নানা তথ্যের প্রয়োজন হয়।
এবং লেনদেন করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের তথ্যের আদান প্রদান সম্পাদন করতে হয়। পাশাপাশি যে কোন বিষয়ে ভালো ফলাফল অর্জনের জন্য মেশিন দিয়ে তথ্য কে এনালাইসিস বা বিশ্লেষণ করার পদ্ধতি হচ্ছে মেশিন লার্নিং প্রক্রিয়ায় কার্যসম্পাদন। তো আপনি এই বিষয়টার উপর দক্ষতা অর্জন করলে অনেক ভালো চাহিদা থাকবে।যা আপনার ভালো ক্যারিয়ারের সহায়তা করবে।
ডিজিটাল মার্কেটিংঃ যেহেতু ভবিষ্যতে আমরা অনলাইনের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বো যার ফলে অনলাইনে নানা ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রয়ের জন্য মার্কেটিং করবে। এবং অনলাইনে প্রোডাক্ট সম্পর্কে মার্কেটিং করার প্রক্রিয়া হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। অনলাইন ব্যবহার করে নানা ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রোডাকশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং ক্রয় বিক্রয় সম্পন্ন হবে।
যে কোন প্রোডাক্ট বিক্রয় করার জন্য নানাভাবে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে তবে ভবিষ্যতে যেহেতু সবকিছু ডিজিটাল প্লাটফর্মে হয়ে থাকবে এজন্য ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা থাকবে অনেক বেশি। এবং ভবিষ্যতে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি অনেক বেশি আপডেট পাশাপাশি কঠিন হয়ে পড়বে। এজন্য আপনি যদি একজন ভালো ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন। তাহলে আপনার ভবিষ্যতে অনেক চাহিদা।
ভিডিও এডিটিংঃ কোন কিছু জানা বা খোঁজার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকি এবং google এর পাশাপাশি ইউটিউব অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ আমরা এখন লেখাপড়ার চেয়ে মানুষের কথা এবং ভিডিওকে অনেক প্রাধান্য দিচ্ছি। এবং মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও এখন ভিডিও মার্কেটিং থেকে অনেক বেশি বিক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে। এজন্য আপনি চাইলে ভিডিও মার্কেটিং এর উপর গুরুত্ব দিয়ে আপনার ক্যারিয়ারকে সুন্দর করতে পারবেন।
এবং ফ্রিল্যান্সিং স্কিল গুলোর মধ্যে ভিডিও এডিটিং এটা ভবিষ্যতে অনেক চাহিদা সম্পন্ন একটা সেক্টর হতে চলেছে। বিশেষ করে ভবিষ্যতে সকল ধরনের মার্কেটিং ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে করা হবে। এবং ভিডিও এডিটিং এই সেক্টর টা এত বড় যে এটা বিনোদন দেওয়া থেকে শুরু করে নানা ধরনের অফিসিয়াল কাজকর্মের নানা ধরনের প্রজেক্ট বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
তাছাড়া ভবিষ্যতে পড়াশোনা অনলাইন বেস হতে চলেছে। অনলাইনে পড়াশোনা পরিচালনা করার জন্য ভিডিও কনটেন্ট এই পদ্ধতি অনুসরণ করে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে পাশাপাশি সকল বিষয় প্রাতিষ্ঠানিক এবং প্রজেক্ট বেস সকল কিছু ভিডিও তৈরি করে করা হবে।
লেখকের শেষ কথা
বর্তমানে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর নিয়ে এই পোস্টে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক চাহিদা সম্পন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি ভবিষ্যতে থাকতে চান এবং কোন একটা ভালো কাজের উপর ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চান তাহলে উপরের আলোচনা করা স্কিলসমূহের মধ্যে যেকোনো একটি নিয়ে কাজ শুরু করে দিন।
এই স্কিল গুলো চাহিদা অনেক বেশি থাকার কারণে আপনি খুব সহজেই আপনার সেবা বিক্রি করে তাড়াতাড়ি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। এবং এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করতে পারবেন। এর জন্য দেরি না করে এখনই যে কোন বিষয় যেটা আপনার পছন্দ হয় সেটার উপর দক্ষতা অর্জন করা শুরু করে দিন।
এখানে কমেন্ট করুন
comment url