নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত ব্যবহার বিধি
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এই পোস্টে একদম সম্পূর্ণ বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। যারা নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন না বা কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। এই পোস্টটি তাদের জন্য যারা নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানার আগ্রহী এবং নিম পাতা ব্যবহার করতে চান।
নিম পাতার উপকার ও ব্যবহার বিধি জানার জন্য এই পোস্টটি অবশ্যই ভালো করে পড়ার চেষ্টা করুন। এখানে আমি নিম পাতার অনেকগুলো উপকারিতা এবং কিছু অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। আপনি নিমপাতা সতর্ক ভাবে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পেয়ে যাবেন।
পোস্ট সুচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা বিস্তারিত ব্যবহার বিধি
- নিম পাতার উপকারিতা
- নিম পাতার ব্যবহারবিধি
- নিম পাতা সংরক্ষণের পদ্ধতি
- নিমপাতা ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন
- লেখকের শেষ কথা
নিম পাতার উপকারিতা
প্রাচীন কাল থেকে নিম পাতার আয়ুর্বেদিক নানা গুনাগুন রয়েছে। এবং নানা ধরনের রোগ সারানোর জন্য নিম পাতার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। চলুন কতগুলো রোগের জন্য নিমপাতা ব্যবহার করা হয় আলোচনা করি।
ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহারঃ নিমপাতা তে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান রয়েছে। এই ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং নানা ধরনের জীবাণু নষ্ট করে ফেলে। যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ব্রণ, ফুসকুড়ি এবং এলার্জি জাতীয় রোগ দূর করে। এবং তোকে নিয়মিত নিম পাতা ব্যবহারে ত্বক পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার উপায়
রক্ত পরিষ্কার করেঃ নিম পাতাতে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি আমাদের শরীর থেকে নানা ধরনের বাজে পদার্থ এবং টক্সিন দূর করে শরীরকে পরিষ্কার রাখে। এবং টক্সিন বের করার ফলে আমাদের রক্ত অনেক পরিষ্কার থাকে যা আমাদের ত্বককে ভালো রাখে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ব্যবহারঃ নিমপাতা ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য অনেক কার্যকরী একটা ঔষধ। যা আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে আমাদের রক্তের ডায়াবেটিকস কমে যায়। এবং নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।
মাথার ত্বকের সমস্যার সমাধান করেঃ নিমপাতা তে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা আমাদের শরীরকে পরিষ্কার এবং চুলকানি মুক্ত রাখে। পাশাপাশি নিম পাতার ফাংগাল এবং এন্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকার কারণে এটি আমাদের মাথার ত্বকের নানা ধরনের চুলকানি, খুশকি দূর করতে সহায়তা করে। এবং এটি আমাদের চুলকে মজবুত রাখে এবং সুন্দর করে।
পরজীবী ও কীটনাশক হিসেবে নিম পাতার ব্যবহারঃ নিম পাতার রস নানা ধরনের পোকামাকড় দাঁড়াতে এবং শস্য সংরক্ষণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক ধরনের পোকা মাকড় রয়েছে যা নিম পাতার রস ফসলের স্প্রে করার মাধ্যমে পোকামাকড় দূর হয়ে যায় ফসলগুলো নিরাপদে থাকে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করেঃ নিম পাতা খাওয়ার ফলে আমাদের পাচনতন্ত্রের জীবাণুর ধ্বংসের কারণে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়ে থাকে। নিম পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের পাচনতন্ত্রের জীবাণু ধ্বংস করে ফেলে। এবং এটি পেটের পিরা এবং নানা ধরনের সমস্যা দূর করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ নিমপাতা তে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং নানা রোগের থেকে আমাদের শরীরকে নিরাপদে রাখে।
অ্যান্টিসেপটিক সমৃদ্ধ আছে নিম পাতায়ঃ নিমপাতা প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক বিদ্যমান। কোন ধরনের কাঁটা এবং ক্ষত জায়গায় নিমপতা বাটা ও নিম পাতার রস দিলে ওই জায়গাটা দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং নানা ধরনের সংক্রমণজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
জ্বর ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ করেঃ নিম পাতা ম্যালেরিয়া ও জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম পাতায় যেহেতু প্রাকৃতিক এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক গোল্ড রয়েছে তাই এটি আমাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য ম্যালেরিয়া ও জরে নিম পাতার রস বা পাউডার ব্যবহার করা হয়।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ নিম পাতায় নানা ধরনের প্রাকৃতিক উপকারী উপাদান রয়েছে পাশাপাশি এন্টি অক্সিডেন্ট তো আছেই। এই উপাদানগুলি আমাদের রক্তে কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখে। এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ফলে আমাদের হৃদরোগের নানা ধরনের সমস্যার ঝুঁকি ও কমিয়ে থাকে।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর করেঃ নিম পাতার অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিসেপটিক সমৃদ্ধ গুণ গুলোর কারণে আমাদের শরীরের নানা ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন, যেমন: খোসা , দাঁত, চুলকানি, নখের ইনফেকশন ইত্যাদি সমস্যা গুলি দূর করে।
পোকামাকড়ের কামড় থেকে ত্বককে রক্ষা করেঃ মশা মাছি এবং নানা ধরনের ছোট পোকামাকড় কামড়ালে আমাদের ত্বকের জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে এবং ত্বক ফুলে যেতে পারে। ত্বকের ওই স্থানে নিমপাতা ব্যবহার করলে আমাদের এ ধরনের সমস্যা দূর হয়।
নিমপাতা ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ এক ধরনের গবেষণায় দেখা গেছে, নিম পাতার নির্যাস শরীরে কোষগুলিকে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং নিম পাতার ভেষজ এন্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট গুণ সমৃদ্ধ থাকায়। নিম পাতা আমাদের শরীরের ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করে ফেলে। যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
ফসলে মাটিতে ব্যবহারঃ নিম গাছ একটি প্রাকৃতিক কীটনাশক এবং নানা ভেষজ গুণসমৃদ্ধ যা নানা ধরনের পোকামাকড় থেকে জমিকে রক্ষা করে। এবং পাশাপাশি মাটির সঠিক পিএইচ রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য ফর্শলে নিম পাতার গোড়া ব্যবহার করে চাষ করলে ফসলের নানা ধরনের রোগ বালাই এবং পোকামাকড় দূর হয়।
নিম পাতার ব্যবহারবিধি
আমরা তো উপরে নিম পাতার উপকারিতা সম্পর্কে শুনলাম এখন কিছু ব্যবহার করার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই। যা আমাদের উপকার পেতে সহায়তা করবে।
- ত্বকে ব্যবহারঃ কয়েকটি নিমপাতা নিয়ে ব্রিটিশ বা সিদ্ধ করে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগালে মুখের উজ্জ্বলতা এবং নানা ধরনের দাগ দূর হয়। বিশেষ করে মুখের নানা ধরনের কালচে দাগ, ব্রণ, মেছতা দূর হয়।
- চুলের ব্যবহারঃ কিছু নিমপাতা নিয়ে তা সিদ্ধ করে সে সিদ্ধ থেকে নিম পাতার যে নির্যাস বের হবে তা ঠান্ডা করে চুলে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে চুলের খুশকি দূর হবে মাথার চুলকানি পাশাপাশি চুল মজবুত হবে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে দুই থেকে পাঁচটি নিমপাতা চিবিয়ে খান। এতে আপনার রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
- রক্ত পরিষ্কার করতে ব্যবহারঃ নিম পাতা বেটে এর রস বের করতে হবে। এবং দুইটা চামচ পরিমাণ রস কিছু পানির সাথে মিশিয়ে প্রয়োজনে মধু দিতে পারেন। এই মিক্স প্রতিদিন অন্তত একবার খেলে রক্ত পরিষ্কার হবে।
- পোকামাকড় তাড়াতে নিম তেল ব্যবহারঃ নিম পাতার তেল বানাতে হবে তারপরে শরীরের খোলা জায়গা গুলোতে যেখানে মশা এবং মাছি বসতে পারে এমন জায়গাতে ব্যবহার করতে হবে। এভাবে শরীরে মেখে ঘুমালে মশা মাছির কামড় থেকে নিরাপদে থাকা যায়।
- মুখের ভেতরের ঘা দূর করতেঃ মুখের ঘা দূর করার জন্য নিম পাতার রস দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। এভাবে কিছুদিন গড়গড়া করলে আপনার মুখের ভেতরের নানা ধরনের জীবাণু এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করবে মুখের ভিতরের ক্ষত এবং ইনফেকশন নিরাময় করবে।
নিম পাতা সংরক্ষণের পদ্ধতি
নিম পাতার পাউডারঃ দীর্ঘদিন নিমপাতা ব্যবহারের জন্য নিম পাতা শুকিয়ে তার পাউডার তৈরি করা এটা অনেক কার্যকরী পদ্ধতি। নিম পাতা শুকিয়ে পাউডার তৈরি করার পর এটি একটা ভালো পরিষ্কার পাত্রে রেখে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে।
নিম পাতার রসঃ আপনি চাইলে একদিনে অনেকগুলো নিমপাতা বেটে তার রস ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিজ আসার কারণে এই নতুন সুবিধাটা পাওয়া যায়। এজন্য প্রয়োজনমতো ১৫ দিন অথবা এক মাসের জন্য নিম পাতা বেটে রস করে ভালো পরিষ্কার পাত্রে ফ্রিজে রেখে দিন।
নিমের তেল তৈরিঃ নিম পাতার বীজ থেকে তেল তৈরি করে এটি অনেকদিন ধরে ব্যবহার করা যায়। জন্য আপনি যদি দীর্ঘদিন নিমপাতা ব্যবহার করতে আগ্রহী হন তাহলে নিম পাতার বিষ থেকে তেল তৈরি করে সংগ্রহ করে রাখুন।
নিমপাতা ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অবলম্বন
নিম পাতা আমাদের জন্য অনেক অত্যন্ত উপকারী একটি ভেষজ। তবে নিম পাতা অতিরিক্ত তিক্ত এবং এর কিছু উপাদান বেশি পরিমাণে থাকার কারণে এটা আমাদের শরীরে বেশি পরিমাণ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। নিম পাতা বেশি ব্যবহারে আমাদের শরীরে কিছু সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে চলুন আলোচনা করি।
লিভারের সমস্যাঃ নিম পাতার রস অতিরিক্ত পরিমাণ খেলে এটি লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে। কারণ এর তিক্ত ভাব এবং কিছু উপাদান আমাদের শরীরে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ক্ষতি হয়ে থাকে। এজন্য ব্যবহার করুন তবে বেশি নয় অল্প অল্প করে।
রক্তচাপ কমিয়ে দেওয়াঃ যাদের এমনিতেই রক্তচাপ কম থাকে তাদের নিমপাতা নিয়মিত ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ নিমপাতা আমাদের শরীরের রক্তে শর্করার পাশাপাশি রক্তের চাপও কমিয়ে দিতে পারে। সেজন্য রক্তচাপ কমে যাওয়ার আশঙ্কা হলে নিমপাতা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষতিসাধনঃ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নিম পাতার রস খাওয়া বিপদজনক হতে পারে। নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এজন্য গর্ভাবস্থায় নিম পাতার রস থেকে বিরত থাকুন।
শিশুদের জন্য ক্ষতিকারকঃ নিম পাতার তিক্ত স্বাদ এবং এতে থাকা শক্তিশালী রাসায়নিক উপাদান শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে এজন্য ছোট বাচ্চাদের নিম পাতা খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। কারণ নিম পাতার ভেতর কিছু শক্তিশালী উপাদান রয়েছে যা বাচ্চাদের শরীর এবজোর্ভ করতে পারবেনা।
রক্তে নানা উপাদান কমিয়ে দেওয়াঃ অতিরিক্ত নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে এটি রক্তকে পরিশোধিত করার পাশাপাশি রক্তের নানা ধরনের ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। এজন্য অতিরিক্ত নিম পাতার রস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। অল্প পরিমান খান এবং দীর্ঘদিন ধরে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হওয়াঃ দীর্ঘদিন নিম পাতার রস খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কে দাবিয়ে নিম পাতা রাজত্ব করবে।
লেখকের শেষ কথা
নিম পাতায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিসেপটিভ গুণসমৃদ্ধ আছে। এজন্য এটি সঠিকভাবে ব্যবহারে আমাদের শরীরের নানা ধরনের রোগ নিরাময় করবে। তবে এটি আমাদের অতিরিক্ত ব্যবহার করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বিশেষ করে নিমপাতা তিক্ত স্বাদ এবং কিছু রাসায়নিক উপাদান।
এজন্য নিমপাতা নিয়মিত ভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করে ব্যবহার করুন। একনাগারে দীর্ঘদিন নিমপাতা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে নিমপাতা ব্যবহার করবেন যা শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে। আর একদম বেশি পরিমাণ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
এখানে কমেন্ট করুন
comment url