জয়তুন তেলের উপকারিতা

 জয়তুন তেলের উপকারিতা রয়েছে অনেক।জয়তুন তেলের উপকারিতা সম্পর্কে মুসলিম ধর্ম গ্রন্থের আল কোরআনের বলা হয়েছে অনেক গুরুত্ব দিয়ে।  এবং বর্তমানে বিজ্ঞানীরা জয়তুন তেলের উপর গবেষণা করে এর উপকারিতা সম্পর্কে অবাক।  চলুন নতুনদের নিয়ে আজকে কিছু আলোচনা করা যাক। 

জয়তুন তেলের উপকারিতা

জয়তুন তেল মূলত অলিভ অয়েল।  আমরা হয়তোবা অনেকেই এটা জানি না। কিন্তু এটাই একদম সঠিক।  ভাবে জয়তুন তেল সম্পর্কে অনেকের ধারণা না থাকলেও অলিভ অয়েল সম্পর্কে অনেকের  ভালো ধারণা রয়েছে।  অলিভ অয়েলকেই আরবিতে জয়তুন বলা হয়ে থাকে। জয়তুন তেল আমাদের ত্বকের পাশাপাশি চুলের এবং দাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত চুল এবং দাড়িতে জয়তুন তেল ব্যবহার করলে আমাদের চুল এবং দাড়ি অনেক সুন্দর এবং স্বাস্থ্যকর হয়। 

পোস্ট সুচিপত্রঃ জয়তুন তেলের উপকারিতা

জয়তুন তেলের উপকারিতা

জয়তুন তেলের নানা উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ রয়েছে।  জয়তুন তেল আমাদের শরীরের নানা উপকার সাধন করে থাকে এই বিষয় নিয়ে এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। জয়তুন তেল নিয়মিত ব্যবহারে আপনার বার্ধক্য রোধ হয়।  চুলের, ত্বকের নানা ধরনের উপকার হয়ে থাকে।  তো চলুন জেনে নিই জয়তুন তেলের সমস্ত উপকারিতা।

হৃদ প্রতিরোধ করে 

জয়তুন তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবং নিয়মিত জয়তুন তেল গ্রহণ করলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে যার ফলে এটি হৃদপিণ্ডকে ভালো রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী 

জয়তুন তেল উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত জয়তুন তেল গ্রহণ করে তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। এবং নিয়মিত এই তেল ব্যবহারের ফলে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালিকে শিথিল করে রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে থাকে। 

ক্যান্সার প্রতিরোধ 

জয়তুন তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল থাকে, যা শরীরের কোষগুলিকে ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এটি বিশেষ করে স্তন, অন্ত্র এবং প্রটেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নানা ধরনের ক্যান্সারের কোষকে নষ্ট করে ফেলে। 

ওজন নিয়ন্ত্রণ 

জয়তুন তেলে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা আমরা সহজেই হজম করতে পারি এবং শরীরের চর্বি জমতে বাধা দেয়। এই ফ্যাটের কারণে আমাদের অতিরিক্ত ওজন বাড়ে না এবং এটি মেটাবলিজম বাড়ায় যার ফলে আমাদের ওজন কমানোর জন্য এটিই গুরুত্বপূর্ণ। এবং নিয়মিত জয়তুন তেলের অভ্যাস থাকলে শরীর ফিট থাকে। 

ত্বক ও চুলের যত্ন 

জয়তুন তেল ত্বকের ও চুলের যত্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ভিটামিন ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখে। পাশাপাশি এই তেল চুলে ব্যবহার করলে চুলকে মজবুত রাখে চুল মোটা করে। মাথায় খুশকি থাকলে মাথার খুশকি দূর করে। এবং চুল পাকা সমস্যা রোধ করে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সহায়ক 

জয়তুন তেলে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি রক্তে গিয়ে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দেয় যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর ডাইবেটিকস নিয়ন্ত্রণে সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করে। এজন্য নিয়মিত অলিভ অয়েল খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

হাড় মজবুত করে 

জয়তুন তেলে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস যা হারকে শক্তিশালী করে থাকে। এবং এটি হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। হারকে ভালো রাখতে বা শক্তিশালী রাখতে জয়তুন তেল খাওয়ার পাশাপাশি শরীরে মালিশ করলে আরো বেশি উপকার হবে।

মানসিক স্বাস্থ্য 

জয়তুন তেল মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে থাকে এতে থাকা অ্যান্ড অক্সিডেন্ট আমাদের মানসিক চাপ এবং বিষন্নতা দূর করে এবং স্নায়ুতন্ত্রের সাহায্যে মস্তিষ্ক কে স্থিতিশীলতা দান করে। এবং নানা ধরনের মানসিক দুর্বলতা দূর করে আমাদের প্রশান্তি দান করে। 

চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি 

বর্তমানে আমরা সারাদিন স্কিনের সামনে থাকার কারণে আমাদের চোখের নানা ধরনের সমস্যা এবং দৃষ্টিশক্তি লোক পেয়ে যাচ্ছে। এজন্য জয়তুনের তেল আমরা যদি খাই। পাশাপাশি এটি যদি আমাদের চোখের আশেপাশেই হালকা করে মাসাজ করি তাহলে আমাদের চোখে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে এবং আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে। 

আমার শেষ কথা 

জয়তুন তেলের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে আমরা জানতে পারলাম। তো আপনার খাদ্য তালিকায় জয়তুন তেল রাখলে এইসব উপকার পেয়ে যাবেন। এবং জয়তুন তেল মুলত স্পেন এবং আরবের হয়ে থাকে। নিয়মিত জয়তুন তেল শরীরে মাসাজ করলে আপনার বার্ধক্য রোধ হয়।

আপনি যদি রান্না বান্নাই জয়তুন তেল ব্যবহার করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের আরো বেশি উন্নতি হবে। এজন্য যদি পারেন জয়তুন তেল আপনার রান্নাও করার জন্য ব্যবহার করতে। তাহলে আপনার শরীরে অন্য তেলের বাজে প্রভাব থেকে শরীরকে ভালো রাখতে পারবেন। আর এই তেল খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কোন ধরনের বাজে কোলেস্টেরল তৈরি হবে না।



পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

আগের পোস্ট পড়ুন পরের পোস্ট পড়ুন
এখনো কেউ কমেন্ট করে নি
কমেন্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে কমেন্ট করুন

comment url